সর্বজনকথার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাজ গবেষণা প্রশিক্ষণ কর্মশালা

সর্বজনকথার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী সমাজ গবেষণা প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও গবেষণা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সর্বজনকথা। আগ্রহীদের যোগদানের জন্য আহ্বান রইল।
 
২য় ব্যাচ (অনলাইন ব্যাচ) এর রেজিস্ট্রেশন শুরু হল।
২য় ব্যাচটি (অনলাইন ব্যাচ) শুধুমাত্র যারা ঢাকার বাইরে থাকেন তাদের জন্য।

কর্মশালার শিরোনাম: “জনস্বার্থের গবেষণা: বিষয় ও পদ্ধতি”

* প্রত্যেক ব্যাচের জন্য ৩টি কর্মশালা থাকবে।
* ২য় ব্যাচ (অনলাইন ব্যাচ) এর ৩টি কর্মশালার তারিখ: ২৩ মার্চ, ৩০মার্চ ও ৬ এপ্রিল ২০২৪।
* ২য় ব্যাচ (অনলাইন ব্যাচ) এর অনলাইনে যোগদানের লিংক ও সময় যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন তাদের জানিয়ে দেয়া হবে।
* যারা ঢাকার বাইরে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে প্রধানত অনলাইনে কর্মশালা হবে। তবে যদি কোন জেলায় বা অঞ্চলে ২০-২৫ জন আগ্রহী ব্যক্তি পাওয়া যায় তাহলে সেই জেলা বা অঞ্চলে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।
* তিনটি কর্মশালাতেই যারা অংশ নিবেন তাদের সনদপত্র দেয়া হবে।
* ১৮ বছরের উপর যেকোন ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন।
* ২০ মার্চ ২০২৪ এর মধ্যে ২য় ব্যাচ (অনলাইন ব্যাচ) এর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
* রেজিস্ট্রেশন ফি প্রযোজ্য।

* কর্মশালায় অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাওয়া যাবে এই লিংকে: https://forms.gle/rJrMvq4RYGDce5eG7

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য গবেষণা কর্মসূচী:

* প্রত্যেক ব্যাচের ৩টি কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পৃথকভাবে গবেষণা প্রস্তাব লেখার প্রতিযোগিতা হবে।
* নির্বাচিত গবেষণা প্রস্তাবগুলোর জন্য সর্বজনকথার পক্ষ থেকে তত্ত্ববধায়ক থাকবেন।
* প্রত্যেক নির্বাচিত গবেষক তার গবেষণা সমাপ্ত করার জন্য তিন মাস সময় পাবেন।
* সমাপ্তকৃত গবেষণা প্রতিবেদন তারা সর্বজনকথায় প্রকাশ করার সুযোগ পাবেন।
* নভেম্বরে জনস্বার্থের গবেষকদের সম্মেলনে নির্বাচিতরা তাদের নিজ নিজ গবেষণা উপস্থাপন করবেন।
* বিচারকদের নির্বাচিত কয়েকটি গবেষণার জন্য থাকবে পুরস্কার।
Social Share
  •  
  •  
  • 350
  •  
  •  
  •  
  •  

সর্বজনকথা ১০ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা (ফেব্রুয়ারি- এপ্রিল ২০২৪)

(more…)
Social Share
  •  
  •  

সর্বজনকথা ১০ম বর্ষ, ১ম সংখ্যা (নভেম্বর ২০২৩- জানুয়ারি ২০২৪)

(more…)
Social Share
  •  
  •  

সিপিডির নিম্নতম মজুরি প্রস্তাব কেন গ্রহণযোগ্য নয়

মাহতাব উদ্দীন আহমেদ

ছবি: দেবাশিষ চক্রবর্তী

[গত বেশ কিছুদিন ধরে গার্মেন্টস শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি নতুনভাবে নির্ধারণের জন্য আন্দোলন চলছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোর চলমান আন্দোলনে অনেকগুলো সংগঠন থেকে নিম্নতম মজুরি হিসাবে দাবি উঠেছে ২৫ হাজার টাকা এবং আরও বেশি কিছু সংগঠন দাবি করেছে ২৩ হাজার টাকা। তাদের উভয়ের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য যুক্তিও দেয়া হয়েছে। মজুরি বোর্ডের কালক্ষেপনের মধ্যেও তাদের অনেকে নিজ নিজ ব্যাখ্যা জমাও দিয়েছে। এসব কর্মসূচী ও আলোচনার মধ্যে গত ৮ই অক্টোবর  গার্মেন্ট শ্রমিকের জন্য ১৭,৫৬৮ টাকা নিম্নতম মজুরির প্রস্তাব দিয়েছে দেশের খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। যেহেতু প্রস্তাবটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে, এবং দেশের অর্থনীতি নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে যাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, তাই তাদের এহেন কম মজুরির প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করা জরুরী বলে আমরা মনে করি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সিপিডির প্রস্তাব পর্যালোচনা করে এই লেখা।]

শুরুতেই বলে নেয়া ভাল যে, শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ নিয়ে কথা বলা কোন ইচ্ছাপূরণের গল্প বা উইশফুল থিংকিং এর বিষয় নয় যে মন চাইল আর একটা বলে দিলাম। এটা শ্রমিকের অস্তিত্বের প্রশ্ন। তার সুস্থ শরীরে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার প্রশ্ন এবং বাজার অর্থনীতিতে সেটা দীর্ঘমেয়াদে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতার প্রশ্নও বটে। এই প্রস্তাব বিজিএমইএ দিলে সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজনই পড়ত না। কারণ বিজিএমইএ এমন কম মজুরি বা তার থেকেও কম মজুরির প্রস্তাব দিবে তেমনটাই তাদের শ্রেণীস্বার্থে স্বাভাবিক। কিন্তু একটি বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এরকম প্রস্তাব দিলে তা গুরুতর বিষয়ই বটে।

সিপিডি নিম্নতম মজুরীর প্রস্তাব করতে গিয়ে তাদের নিজেদের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে (মূল রিপোর্ট তারা প্রকাশ করেনি এখনো) বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকের দুর্দশা অল্পবিস্তর তুলে ধরার পরেও, শেষমেষ যে পদ্ধতিতে ওই নিম্নতম মজুরি হিসাব করেছে তাতে শ্রমিকের প্রতি ভীষণ অসংবেদনশীলতা ও শ্রেণীগত অবহেলারই বহিপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সিপিডির করা সেই হিসাব নিয়ে পদ্ধতিগতভাবেই কতগুলো গুরুতর প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে। কীভাবে সেটাই নীচে আলোচনা করা হচ্ছে।

(more…)
Social Share
  •  
  •