ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা

আনু মুহাম্মদ

লেখাটি ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লিখিত, তখনও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন চলছিল, লেখাটি তা নিয়েই। এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল সংস্কৃৃতিতে, সেই বছরের অক্টোবরে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা-র প্রকাশনা ইস্পাত এটি পুনর্মুদ্রণ করে ২০১১ সালের আগস্ট মাসে।  সম্প্রতি দেশজুড়ে যখন ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা বিরোধী আন্দোলন বিস্তৃত হচ্ছে তখন, ২২ বছর পর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে ‘চক্রান্ত’ বলে, ধর্ষক হিসেবে অভিযুক্ত প্রধান অপরাধীকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে যে প্রচারণা শুরু হয়েছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। হয়তো কয়বছর পর এই সময়ের ধর্ষকদেরও পাক ছাফ বলে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।   ইতিহাসকে স্মরণে আনা, সেই আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি বোঝা এবং মিথ্যা প্রচারণার বিপরীতে সঠিক তথ্য উপস্থিত করার জন্য সেইসময়ের এই লেখাটা আগ্রহীদের জন্য প্রাসঙ্গিক হবে বলে আবারও প্রকাশ করা হচ্ছে। সেই সময়ের ঘটনাবলী বোঝার জন্য সহজ তথ্যসূত্র ১৯৯৯ সালে অশুচি প্রকাশিত ধর্ষণ বিরোধী ছাত্রী আন্দোলন, যা তৎকালীন সকল খবর, লেখা, বিতর্ক সংকলন করেছিলো।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন, ছবি: আবীর আব্দুল্লাহ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২০ আগষ্ট থেকে মাসাধিককাল ধরে ছাত্রী ধর্ষণ বিরোধী যে আন্দোলন চলছে তার প্রতি মনোযোগ প্রদান ও তার পর্যালোচনা কয়েকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণঃ

১. এই প্রথম দেশে কোন প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ বিরোধী একটানা এই রকম আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে। যে আন্দোলন ধর্ষণের মত ধামাচাপা দেওয়া অপরাধকে সবার সামনে উপস্থিত করছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন এবং যৌন নিপীড়ন বিরোধী অবস্থান গ্রহণের প্রশ্নটিও সামনে আসছে।

২. ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের বিশেষত ছাত্রীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ঘটেছে।

৩. এই আন্দোলন সরকারি ছাত্র সংগঠন ও সেই সূত্রে শাসক রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের সামগ্রিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করেই গড়ে উঠেছে যখন এর বিরুদ্ধে অন্য কোন ছাত্র সংগঠনের পক্ষে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

(more…)
Social Share
  •  
  •  
  • 350
  •  
  •  
  •  
  •  

সর্বজনকথা ৬ষ্ঠ বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা( আগস্ট- অক্টোবর ২০২০)

(more…)
Social Share
  •  
  •  

বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল: আক্রান্ত শ্রমিকদের কথা

রুহুল আমিন

সর্বজনকথা আগষ্ট-অক্টোবর ২০২০ সংখ্যা পূর্ণরূপে প্রকাশিত হবে আগামী ১ আগষ্ট। বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা এখন থেকে কোনো কোনো লেখা আগাম প্রকাশ করবো। সম্প্রতি সরকার যেভাবে এতোগুলি পাটকল বন্ধ করেছে তার কারণ, পরিণতি, করণীয়, লাভক্ষতি নানাদিক থেকে বিশ্লেষণ করা দরকার। সেই গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা এই লেখা আগাম প্রকাশ করছি।– সম্পাদক

ছবি: যুগান্তর

“২৫ টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ”- খুব ছোট্ট এ বাক্যের গভীরতা ও বিস্তৃতি যে কত ব্যাপক, তা সেদিন যারা ২ জুলাই মিলগেটে বা মিল এলাকায় ছিলেন তারা জানেন। রাত ৯টা থেকে ১০ টার মধ্যে যখন প্রতিটি মিলগেটে নোটিশ লাগিয়ে  গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তখনকার শ্রমিকদের কান্নার দৃশ্য না দেখলে এর গভীরতা বোঝা দুষ্কর।

(more…)
Social Share
  •  
  •  

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ কার স্বার্থে?

কল্লোল মোস্তফা

সর্বজনকথা আগষ্ট-অক্টোবর ২০২০ সংখ্যা পূর্ণরূপে প্রকাশিত হবে আগামী ১ আগষ্ট। বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা এখন থেকে কোনো কোনো লেখা আগাম প্রকাশ করবো। সম্প্রতি সরকার যেভাবে এতোগুলি পাটকল বন্ধ করেছে তার কারণ, পরিণতি, করণীয়, লাভক্ষতি নানাদিক থেকে বিশ্লেষণ করা দরকার। সেই গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা এই লেখা আগাম প্রকাশ করছি।– সম্পাদক

গত ২ জুলাই ২০২০ বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) ব্যবস্থাপনাধীন ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। করোনা মহামারির মধ্যে সারাদুনিয়ার সরকারগুলো যখন নানান প্রণোদনার মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান ধরে রাখবার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার সেখানে করোনা মহামারির সুযোগ নিয়ে প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী ও সমসংখ্যক অস্থায়ী শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করে বিপুল জমিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো পিপিপির মাধ্যমে বেসরকারি পুঁজিপতিদের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম বা দুর্যোগের পুঁজিবাদের ধ্রুপদী দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।

(more…)
Social Share
  •  
  •