কোটা সংস্কার আন্দোলন, কর্তৃত্ববাদ ও নৃশংসতা

কল্লোল মোস্তফা

ছবি: খালেদ সরকার/প্রথম আলো

দেশের সরকারের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা না থাকলে তার পরিণতি কী হতে পারে তার সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হলো কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের অকল্পনীয় নৃশংসতা ও ২ শতাধিক মানুষ হত্যার ঘটনা। কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল একেবারেই শান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলন। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বহাল করে উচ্চ আদালতের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জুন থেকে যে আন্দোলন শুরু হয় তা শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশের মধ্যেই সীমিত ছিল।

কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার আদালতের দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়াকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি, এমনকি আলোচনা পর্যন্ত করতে রাজি হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জুলাইয়ের শুরুতে আন্দোলন খণ্ডকালীন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ পর্যায়ে প্রবেশ করে। তখনও আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। আন্দোলনে সহিংসতা শুরু হয় ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনার মধ্য দিয়ে।

(more…)
Social Share
  •  
  •  
  • 350
  •  
  •  
  •  
  •  

জুলাই হত্যাকান্ড: ইন্টারনেটবিহীন প্রপাগান্ডা-ভিশন

মোশাহিদা সুলতানা

এই লেখাটি শুরু করেছি সোমবার (২২ জুলাই ২০২৪)। কারফিউ শুরুর পর আজ তৃতীয় দিন, ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার পর চতুর্থ দিন, এবং কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ শুরুর পর ২২তম দিন। এই ক’দিনে শাসকগোষ্ঠীর হঠকারিতা, দ্বিচারিতা, উন্নাসিকতা ও সাধারণ মানুষের প্রতি অবহেলা নগ্নভাবে হাজির হয়েছে। ইন্টারনেট না থাকায়, সোশ্যাল মিডিয়ার অনুপস্থিতিতে টেলিভিশন সরকারের পক্ষে একতরফা প্রচারণা চালাচ্ছে। খবর পাওয়ার আশায় একটানা কয়েক দিন টিভি দেখে আর সহ্য করতে না পেরে এই লেখাটি শুরু করেছি, কেবলই নিজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতাগুলো লিখে রাখতে। এটাকে গবেষণা প্রবন্ধ বলা যাবে না। বলা যাবে নিজের সঙ্গে নিজের আলাপ।

(more…)
Social Share
  •  
  •  

সর্বজনকথা ১০ম বর্ষ, ৩য় সংখ্যা (মে- জুলাই ২০২৪)

(more…)
Social Share
  •  
  •  

সর্বজনকথার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাজ গবেষণা প্রশিক্ষণ কর্মশালা

সর্বজনকথার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী সমাজ গবেষণা প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও গবেষণা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সর্বজনকথা। আগ্রহীদের যোগদানের জন্য আহ্বান রইল।
 
২য় ব্যাচ (অনলাইন ব্যাচ) এর রেজিস্ট্রেশন শুরু হল।
২য় ব্যাচটি (অনলাইন ব্যাচ) শুধুমাত্র যারা ঢাকার বাইরে থাকেন তাদের জন্য।

কর্মশালার শিরোনাম: “জনস্বার্থের গবেষণা: বিষয় ও পদ্ধতি”

* প্রত্যেক ব্যাচের জন্য ৩টি কর্মশালা থাকবে।
* ২য় ব্যাচ (অনলাইন ব্যাচ) এর ৩টি কর্মশালার তারিখ: ২৩ মার্চ, ৩০মার্চ ও ৬ এপ্রিল ২০২৪।
* ২য় ব্যাচ (অনলাইন ব্যাচ) এর অনলাইনে যোগদানের লিংক ও সময় যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন তাদের জানিয়ে দেয়া হবে।
* যারা ঢাকার বাইরে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে প্রধানত অনলাইনে কর্মশালা হবে। তবে যদি কোন জেলায় বা অঞ্চলে ২০-২৫ জন আগ্রহী ব্যক্তি পাওয়া যায় তাহলে সেই জেলা বা অঞ্চলে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।
* তিনটি কর্মশালাতেই যারা অংশ নিবেন তাদের সনদপত্র দেয়া হবে।
* ১৮ বছরের উপর যেকোন ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন।
* ২০ মার্চ ২০২৪ এর মধ্যে ২য় ব্যাচ (অনলাইন ব্যাচ) এর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
* রেজিস্ট্রেশন ফি প্রযোজ্য।

* কর্মশালায় অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাওয়া যাবে এই লিংকে: https://forms.gle/rJrMvq4RYGDce5eG7

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য গবেষণা কর্মসূচী:

* প্রত্যেক ব্যাচের ৩টি কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পৃথকভাবে গবেষণা প্রস্তাব লেখার প্রতিযোগিতা হবে।
* নির্বাচিত গবেষণা প্রস্তাবগুলোর জন্য সর্বজনকথার পক্ষ থেকে তত্ত্ববধায়ক থাকবেন।
* প্রত্যেক নির্বাচিত গবেষক তার গবেষণা সমাপ্ত করার জন্য তিন মাস সময় পাবেন।
* সমাপ্তকৃত গবেষণা প্রতিবেদন তারা সর্বজনকথায় প্রকাশ করার সুযোগ পাবেন।
* নভেম্বরে জনস্বার্থের গবেষকদের সম্মেলনে নির্বাচিতরা তাদের নিজ নিজ গবেষণা উপস্থাপন করবেন।
* বিচারকদের নির্বাচিত কয়েকটি গবেষণার জন্য থাকবে পুরস্কার।
Social Share
  •  
  •