নির্বাচন বিষয়ে নারী সংগঠনের প্রস্তাব
সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কমিশন গঠন করেছে। এসব নিয়ে বিভিন্নজন মতামত/প্রস্তাব দিয়েছেন, এখনও দিচ্ছেন। এই আলোচনা ও বিতর্ক অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হয়। এখানে কিছু প্রস্তাবসহ কয়েকজনের অভিমত প্রকাশ করা হলো- যথাক্রমে জাকিয়া আফরিন, কল্লোল মোস্তফা, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, আনু মুহাম্মদ এবং কয়েকটি নারী সংগঠন।
সংসদে নারী আসন এবং নারী প্রতিনিধির নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নারী সংগঠনসমূহের প্রস্তাব
- সংসদে আসন সংখ্যা ৩০০ থেকে ৪০০ তে উন্নীত করতে হবে, যেখানে নতুন ১০০টি আসন নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট করতে হবে এবং শুধু নারী প্রার্থীরা সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
- ১০০ টি আসন ৬৪ জেলার মধ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে ভাগ হয়ে যাবে যেখানে প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে ১টি নারী আসন থাকবে, যাতে সর্বমোট ১০০টি আসন নিশ্চিত হয়।
- এক জেলার মধ্যে যে আসনটি ১মবার সংরক্ষিত থাকবে পরবর্তী মেয়াদে সেটা সরাসরি আসন হিসেবে বিবেচিত হবে এইভাবে এক জেলার মধ্যে নারী আসন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে চলবে। ফলে নতুন নারী নেতৃত্ব তৈরি হবে।
- ৩ পার্বত্য জেলাসহ (অন্তত দুটি জেলায় পাহাড়ী আদিবাসী নারী) এবং অন্যান্য আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলোতে আদিবাসী নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
- রাজনৈতিক দলগুলো সকল নির্বাচনে মনোনীত সদস্যদের মধ্যে অন্তত ৩৩% নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবে। পর্যায়ক্রমে এই হার জনসংখ্যায় নারীর সংখ্যা অনুপাতে বৃদ্ধি করতে হবে।
সংগঠনগুলির তালিকা: ১। ক্ষুব্ধ নারী সমাজ, ২। নারীপক্ষ, ৩। বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র, ৪। নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, ৫। নারী সংহতি, ৬। হিল উইমেনস ফেডারেশন, ৭। পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, ৮। স্পেস ফাউন্ডেশন, ৯। বাংলাদেশ শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, ১০। সমাজতান্ত্রিক নারী জোট, ১১। বাংলাদেশ লেখক সংঘ, ১২। নাগরিক নারী ঐক্য, ১৩। নারী মুক্তি কেন্দ্র, ১৪। বিপ্লবী নারী ফোরাম।