আখচাষ ও রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিশিল্প সংকট: কারণ ও তার প্রতিকার

পাটকল চিনিকল বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন-২

গত ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সর্বজনকথার আয়োজনে ‘পাটকল চিনিকল বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রতিবেদন’ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আখচাষ ও চিনিকল বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান ও গবেষণার লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা। এখানে এই গবেষণা সারসংক্ষেপ পত্রটি প্রকাশ করা হলো। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে পাটকল বিষয়ক অনুসন্ধান ও গবেষণার লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষক ড. মাহা মির্জা। সম্পূরক বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, পাটকল শ্রমিক আবদুল হালিম মিঠু ও চিনিকল শ্রমিক ফেরদৌস ইমাম। পাটকল চিনিকল সহ সামগ্রিক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ও রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সর্বজনকথার সম্পাদক আনু মুহাম্মদ।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ করার পর এখন চেষ্টা চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো বন্ধ করার। যুক্তি সেই একটাই- লোকসান। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এসে লোকসানের বোঝা কমানোর কথা বলে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ৬টি চিনিকলের (পঞ্চগড়, সেতাবগঞ্জ, শ্যামপুর, রংপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া) চিনি উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বন্ধ হওয়া ছয় চিনিকলে ২ হাজার ৮৮৪ জন শ্রমিক কর্মচারী কর্মরত। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটশিল্পের মতোই রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলোর লোকসানের উপর যত বেশি আলোকপাত করা হয়, লোকসানের প্রকৃত কার্যকারণগুলো নিয়ে ততটুকু আলোচনা হয় না। কারণ সেই আলোচনা হলে স্পষ্ট হয়ে যাবে কীভাবে সমস্যার কারণ ও সমাধান সুনির্দিষ্টভাবে জানা থাকার পরেও তার সমাধান না করে বরং সেই সমস্যাগুলোকে কাজে লাগিয়ে সর্বজনের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা ও কিছু চেনা গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়ার যৌক্তিকতা তৈরি করা হয়। 

(more…)
Social Share
  •  
  •  
  • 350
  •  
  •  
  •  
  •  

পাটশিল্পের সংকট: কারণ ও তার প্রতিকার

পাটকল চিনিকল বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন-১

গত ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সর্বজনকথার আয়োজনে পাটকল চিনিকল বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে পাটকল বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান ও গবেষণার লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষক ড. মাহা মির্জা। এখানে এই গবেষণা সারসংক্ষেপ পত্রটি প্রকাশ করা হলো। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আখচাষ ও চিনিকল বিষয়ক অনুসন্ধান ও গবেষণার লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা। এরপর সম্পূরক বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, পাটকল শ্রমিক আবদুল হালিম মিঠু ও চিনিকল শ্রমিক ফেরদৌস ইমাম। সবশেষে পাটকল চিনিকল সহ সামগ্রিক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ও রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সর্বজনকথার সম্পাদক আনু মুহাম্মদ।

এ বছর ২ জুলাই ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। করোনা মহামারির মধ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর সরকার যখন বিপুল প্রণোদনার মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান ধরে রাখবার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার সেখানে মহামারির সুযোগ নিয়ে বিপুল জমিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বেসরকারিকরন করার উদ্যোগ নিলো। এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী ও ২৫ হাজার অস্থায়ী শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। যদিও সরকার থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল যে পাটকলগুলো দ্রুত খুলে দেয়া হবে, কিন্তু ইতিমধ্যেই ৬ মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত মিলগুলো খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এছাড়া খুলনার খালিশপুর সহ দেশের বিভিন্ন মিলএলাকায় হাজার হাজার শ্রমিকের পাওনা টাকা পরিশোধ না করেই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, শ্রম আইনের ৩২ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে যে, পাওনা পরিশোধ না করে কোনোভাবেই শ্রমিককে তার বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করা যাবেনা। অথচ আমরা দেখছি সরকার নিজেই শ্রম আইন লঙ্ঘন করছে।

(more…)
Social Share
  •  
  •  
  • 350
  •  
  •  
  •  
  •