The Rooppur Nuclear Power Plant: The Long, Troubled, Costly and Dangerous Life and After-Life of a Very Old Idea

M V Ramana and Zia Mian

The Article has been written for Sarbojonkotha by renowned physicist and expert on Nuclear energy- M V Ramana and Zia Mian. M. V. Ramana is a physicist and the Simons Chair in Disarmament, Global and Human Security and Director of the Liu Institute for Global Issues at the School of Public Policy and Global Affairs, University of British Columbia. He is the author of The Power of Promise: Examining Nuclear Energy in India (Penguin Books, 2012) and is a former member of the Bulletin’s Science and Security Board (https://thebulletin.org/science-and-security-board). Zia Mian is a physicist and co-director of Princeton University’s Program on Science and Global Security, part of the School of Public and International Affairs, where he has worked since 1997. He also directs the Program’s Project on Peace and Security in South Asia. His research interests include issues of nuclear arms control, nonproliferation and disarmament and international peace and security. He is co-editor of Science & Global Security, the international technical journal of arms control, nonproliferation and disarmament and also co-chair of the International Panel on Fissile Materials (IPFM).

Bangladesh is on the way to having its first nuclear power plant. Designed and being built by Russia at a cost of over 12 billion dollars, the Rooppur nuclear plant has been part of an on-and-off planning process for six decades. This sixty-year quest for constructing a reactor is blind to what has been learned over the same period about nuclear energy. It could take many more years before the plant starts to produce any electricity. Intended to operate for sixty years, electricity from this power plant will contribute to higher electricity bills for Bangladeshi consumers for decades given the high cost of construction. The same amount of electricity could be had much cheaper and much more quickly. Worse, for its sixty-year working life, and possibly for longer, it will cast a shadow of a nuclear accident over the people of Bangladesh, who will be forced to live with constant worry or try to just forget. Even if an accident does not occur, the nuclear waste produced by Rooppur will threaten people and nature for millennia with risk of radioactive contamination. This is what it is now to be a nuclear-powered nation.

(more…)
Social Share
  •  
  •  
  • 350
  •  
  •  
  •  
  •  

হামীম গ্রুপের গুলিবিদ্ধ শ্রমিক কাঞ্চন মিয়ার কথা

গত ১০ মে হামীম গ্রুপের গার্মেন্টস কারখানা ক্রিয়েটিভ ওয়ানের শ্রমিকেরা ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি নিয়ে জমায়েত হলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। গুরুতর আহত হন কাঞ্চন মিয়া (৫০)। চিকিৎসা, চিকিৎসা ব্যয়, ক্ষতিপূরণ নিয়ে যে অবহেলা, দায়িত্বহীনতা দেখা দেয় তার কারণে কাঞ্চন মিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এ বিষয়ে গত ৫ জুন ২০২১ সাংবাদিক সম্মেলনে কাঞ্চন মিয়া সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। মনে রাখা দরকার যে, বাংলাদেশে কারখানা, নির্মাণসহ নানা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অভাবে শ্রমিকদের নিহত ও জখম হবার ঘটনা নিয়মিতভাবে ঘটলেও সরকার বা মালিকেরা কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। কাঞ্চন মিয়ার ক্ষেত্রে আন্দোলনের চাপে হামীম গ্রুপ কিছু দায়িত্ব নিলেও তা ছিল দায়সারা, প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। কাঞ্চন মিয়ার বিস্তারিত বক্তব্য এই পরিস্থিতি বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে তা এখানে প্রকাশ করা হলো।      

পুলিশের গুলিতে পঙ্গু হয়ে যাওয়া ঈদের ছুটির দাবিতে আন্দোলন করা হামীম গ্রুপের ক্রিয়েটিভ ওয়ান ফ্যাক্টরির শ্রমিক কাঞ্চন মিয়ার সংবাদ সম্মেলন

ন্যায়বিচার চাই! দোষীদের শাস্তি চাই!

শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির জন্য নায্য, সম্মানজনক ও দৃষ্টান্তমূলক ক্ষতিপূরণ চাই!

হাসপাতালে চিকিৎসা বাবদ খরচের পুরোটা সরকার ও মালিকপক্ষকে বহন করতে হবে!

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,

আপনারা আমার কথা ও মনের ব্যাথাগুলো শোনার জন্য যারা এই সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন তাদের প্রতি শুরুতেই আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি হামীম গ্রুপের গার্মেন্টস কারখানা ক্রিয়েটিভ ওয়ানের শ্রমিক কাঞ্চন মিয়া (৫০)। আপনারা জানেন, গত ১০ মে, ২০২১ তারিখে ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবীতে আন্দোলন করতে গিয়ে আমি আমার অপরাপর শ্রমিকভাইদের মতো পুলিশের গুলিতে আহত হই। আমার আঘাত অত্যন্ত গুরুতর ছিল বিধায় গত ১০ মে তারিখে আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। গার্মেন্টস মালিকের কাছে ঈদের বর্ধিত ছুটির দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামলে (যেই বর্ধিত ছুটি আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকেরা সচরাচর পেয়ে থাকি) পুলিশ ওইদিন বিনা উস্কানিতে বিনা কারণে আমাদের উপর ছররা গুলি চালায়। আমি প্রথম দফা গুলি খেয়ে মাটিতে পড়ে যাই। তখন আমি শত অনুনয় বিনয় করলেও, আমার বাচ্চাদের দোহাই দিয়ে বাঁচার আকুতি জানালেও, আমার কাছ থেকে আমার তলপেট বরাবর লক্ষ্য করে আবারো আমার উপর ছররা গুলি চালানো হয়। আমার তলপেটে শতাধিক ছররা বুলেট বিদ্ধ হয়। খুব কাছ থেকে গুলি করার কারণেই হয়তো কিছু ছররা গুলি আমার তলপেট ভেদ করে আমার অন্ত্রে গিয়ে পৌঁছায়। সেদিন আমার উপর এই নির্মম নিষ্ঠুরতা চালিয়েই তারা ক্ষান্ত হয় নাই। এরপর আমাকে ওই গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই কারখানার একটি টয়লেটে নিয়ে আটকে রাখা হয়। আমি প্রচন্ড কান্নাকাটি করি, শতবার অনুনয় বিনয় করে, আমার বাচ্চাদের দোহাই দিয়ে বলি যে আমাকে যেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আমার কথা শোনা হয় নাই। আমাকে তখন থেকে বলা হয়েছিল আমাকে ওই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তৎক্ষণাৎ শ্রমিকদের সামনে দিয়ে বের করলে নাকি ‘সমস্যা’ হবে। আমি ওভাবেই একটা কক্ষে আটক হয়ে পড়ে থাকি দুই ঘন্টার অধিক।

(more…)
Social Share
  •  
  •  
  • 350
  •  
  •  
  •  
  •  

বাঁশখালী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র: প্রতারণামূলক নিষ্ঠুর ‘উন্নয়ন’ প্রকল্পের দৃষ্টান্ত

কল্লোল মোস্তফা

‘অন্ধকার থেকে আলোর মিছিলে প্রিয় বাংলাদেশ’ এই বিজ্ঞাপনী প্রচার দিয়ে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু করেছিল এস আলম গ্রুপ। এই প্রকল্পে তার সহযোগী চীনা কোম্পানি আর পৃষ্ঠপোষক সরকার। প্রথম থেকেই এই প্রকল্পে পাওয়া যায় কোম্পানি-সরকারের যোগসাজসে প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম আর জোর জবরদস্তির নানা চিত্র। এর কারণে এই প্রকল্প এলাকার গরীব মানুষ আর প্রকল্পের শ্রমিকদের উপর জুলুমের অনেক ঘটনা ঘটেছে, পুলিশ-সন্ত্রাসীদের গুলিতে মানুষ খুনজখম করা তার অংশ। এই প্রাণবিনাশী প্রকল্প  প্রথম থেকেই কীরকম অনিয়ম ও মিথ্যাচারের উপর দিয়ে চলছে তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র এই লেখায় উপস্থিত করা হয়েছে।  

যে প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিবাদ বিক্ষোভ এবং তার প্রতিক্রিয়ায় গুলি করে হত্যার ঘটনা দু-দুবার ঘটতে পারে, তা যে কোনো সাধারণ প্রকল্প নয়, তা বলাই বাহুল্য। দেশীয় কোম্পানি এস আলম ও চীনা কোম্পানি সেপকো-৩ এবং এইচটিজির যৌথ মালিকানায় নির্মিতব্য বাঁশখালী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প এরকমই একটি অসাধারণ ‘উন্নয়ন’ প্রকল্প! অসাধারণ বলেই হয়তো ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘শুভ উদ্বোধন’ উপলক্ষ্যে সংবাদপত্রের পাতাজুড়ে দেওয়া এস আলম ও চীনা কোম্পানি সেপকো-৩-এর যৌথ বিজ্ঞাপনের শিরোনাম ছিল: ‘অন্ধকার থেকে আলোর মিছিলে প্রিয় বাংলাদেশ’! এই বিশেষ ‘উন্নয়ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রথমবার মানুষ হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল টেক্সটাইল মিলস ও ভেজিটেবল অয়েলের নামে জমি কিনে প্রতারণামূলকভাবে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা বাঁশখালীর গণ্ডামারা গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালিয়ে। আর দ্বিতীয়বার মানুষ হত্যা করা হয় ওই ঘটনার পাঁচ বছর পর ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ পর্যায়ে সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধ ও রোজার সময় কাজের সময়সূচি পরিবর্তনের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়ে।

(more…)
Social Share
  •  
  •  
  • 350
  •  
  •  
  •  
  •  

বাঁশখালী হত্যাকান্ড ২০১৬: সরেজমিন প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, মিথ্যাচারের জবাব ও এলাকার মানুষের কথা

২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল বাঁশখালীতে আবারও পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিরস্ত্র গরীব খেটে খাওয়া ক্ষুধার্ত মানুষ নিহত হলেন। বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপ ও চীনা কোম্পানির যৌথ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে দখল, বঞ্চনা ও  প্রতারণা এবং জনগণের ওপর দমন পীড়ন নির্যাতন এমনকি গুলি করে হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৬ সালে এরকম হত্যাকান্ড ঘটেছিল। সেসময় জনগণকে উন্নয়ন সম্পর্কে মিথ্যাচার করে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি দখল করছিল এসব কোম্পানি। সেসময়ই এলাকার মানুষ এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তখনও গুলি চালিয়ে কমপক্ষে চারজন মানুষকে খুন করা হয়েছিল, জখম ও ঘরছাড়া হয়েছিলেন আরও বহুজন। এরপর যৌথ বাহিনী মোতায়েন করে জবরদস্তির উপর কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। যে শ্রমিকেরা এখানে কাজ করছিলেন তাদের কর্মঘন্টা ও মজুরি পরিশোধে ভয়ানক জবরদস্তি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ন্যায্য বিক্ষোভ শ্রমিকদের, সেখানে আবার পুলিশের গুলি, কমপক্ষে পাঁচজন নিহত, কতজন জখম তার হিসাব এখনও হয় নাই।  জীবন নাশী এসব প্রকল্পের জন্য বারবার মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে।

২০১৬ সালে নিহতদের পরিবার  ও আহতসহ এলাকাবাসীর ওপরই চাপানো হয় মামলা, শুরু হয় আরেকদফা হয়রানি। এরপর হত্যাকান্ডে সরকারি প্রশাসন ও এস আলম গ্রুপের ভূমিকা আড়াল করতে এবং কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটিকে একটি পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প হিসেবে হাজির করতে বিজ্ঞাপন ছাড়াও শুরু হয় যথেচ্ছ মিথ্যাচার। ঘটনাগুলো একইরকম ভাবে এবারেও ঘটে যাচ্ছে। তখন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর জ্বালানী উপদেষ্টা সরাসরি সমর্থন জানান কোম্পানি ও প্রকল্পের প্রতি। সেকারণে তদন্ত, বিচার কোনোকিছুই আর অগ্রসর হয়নি। এবছরও শুরু হয়েছে, পাইকারি মামলা, হয়রানি ও মিথ্যা প্রচার।

২০২১ সালের হত্যাকান্ড বুঝতে গেলে তাই ২০১৬ সালের ঘটনাবলীর নিবিড় পর্যবেক্ষণ দরকার। সেসময় জনবিক্ষোভ ও হত্যাকান্ডের পর এ বিষয়ে বেশ কিছু অনুসন্ধান হয়েছিল। সেসব লেখা প্রকাশিত হয়েছিল সর্বজনকথা ২০১৬ সালের মে-জুলাই এবং আগস্ট-অক্টোবর সংখ্যায়। আগ্রহী সকলের সুবিধার জন্য এগুলো এখানে আমরা একসাথে হাজির করছি, এখানে পরপর চারটি লেখা দেয়া হলো। এপ্রিল মাসেই লেখক প্রকৌশলী মাহবুব সুমন, কল্লোল মোস্তফা ও নৃবিজ্ঞানী নাসরিন সিরাজ এ্যানি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন, কথা বলেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে, এর ভিত্তিতেই তাঁদের লেখায় জানিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়। কল্লোল মোস্তফার লেখায় এস আলম গ্রুপের বিজ্ঞাপনী মিথ্যাচারের জবাব পাওয়া যাবে। ঘটনার একমাস পর একইবছরের মে মাসে এই অবরুদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করে সেসময়ের পরিস্থিতি ও জনগণের কথা জানিয়েছেন মওদুদ রহমান

(more…)
Social Share
  •  
  •  
  • 350
  •  
  •  
  •  
  •