রেল ট্রানজিটে কার লাভ কার ক্ষতি

রেল ট্রানজিটে কার লাভ কার ক্ষতি

কল্লোল মোস্তফা

গত জুন মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুবার ভারত সফর করেন। প্রথমবার ৯ই জুন ভারতের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে, দ্বিতীয়বার ২১শে জুন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, সমঝোতা ও চুক্তি করতে। এসব সমঝোতা ও চুক্তিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলো যেমন সীমান্ত হত্যা ও তিস্তাসহ বাংলাদেশের নদী থেকে ভারত কর্তৃক একতরফা পানি প্রত্যাহার, অসম বাণিজ্য সুবিধা ইত্যাদির কোনো ফয়সালা হয়নি। তবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতকে স্থল-নৌ-রেল-বন্দর ব্যবহার ও ট্রানজিট সুবিধা দেবার ক্ষেত্রে নতুন আরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম রেল ট্রানজিট। এই লেখায় এতে কার লাভ কার ক্ষতি তার কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় ভারতের সঙ্গে যে কটি বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের ট্রেন চলাচল বিষয়ক সমঝোতা। এই সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেছেন, রেলওয়ের জন্য সমঝোতা স্মারকটি ছিল দুদেশের রেলওয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন সংক্রান্ত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ছয়টি আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ রয়েছে। কিন্তু এই রেল সংযোগ চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভারতের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ট্রানজিট পাওয়া যাবে।

যদিও বিনয় মোহন কোয়াত্রা বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের এই রেল ট্রানজিটকে ‘উভয় দেশ, উভয় সমাজ, উভয় অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে’ বলে দাবি করেছেন, নানা সংকটে জর্জরিত বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতীয় রেলের ভার কতটা বহন করতে পারবে–এ বিষয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। উদাহরণস্বরূপ দর্শনা-চিলাহাটি রেলপথের কথাই ধরা যাক। এই রেলপথটি ব্যবহার করেই ভারত পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোরের আব্দুলপুর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে ভুটান সীমান্তবর্তী দলগাঁও পর্যন্ত নিজেদের ট্রেন পরিচালনা করতে চায়।

 ছবি: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোরের আব্দুলপুর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও নীলফামারীর চিলাহাটি পর্যন্ত রেলপথের মানচিত্র, সূত্র: বণিক বার্তা, ২৪ জুন ২০২৪

বণিক বার্তার সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, দর্শনা-চিলাহাটি রেলপথটি বেশ পুরাতন এবং এই পথে এখনই সক্ষমতার চেয়ে বেশি ট্রেন চলছে। রেলপথটির ৬টি সেকশনের মধ্যে ৩টিই ওভারলোডেড। এর মধ্যে আব্দুলপুর-সান্তাহার ও সান্তাহার-পার্বতীপুর সেকশনে বর্তমান সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ১৪টি এবং পার্বতীপুর-চিলাহাটি সেকশনে সক্ষমতার চেয়ে ১টি ট্রেন বেশি চলছে। তা ছাড়া এই রেলপথের বেশিরভাগ অংশই পুরাতন। এমনিতেই বাংলাদেশের ব্রডগেজ রেলপথের ভারবহন ক্ষমতা (২২ দশমিক ৫ টন) ভারতের রেলপথের ভারবহন ক্ষমতার (২২ দশমিক ৮২ টন) চেয়ে কিছুটা কম। দর্শনা-চিলাহাটি রেলপথের বেশিরভাগ অংশ পুরাতন হয়ে যাওয়ার কারণে এই ভার বহন ক্ষমতা আরও কমেছে। এরকম অবস্থায় ভারতীয় মালবাহী ট্রেন নিয়মিত চলতে শুরু করলে বাংলাদেশের অংশের রেলপথ তার ভার কতটা বহন করতে পারবে সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।

সিঙ্গেল লাইনে একটি স্টেশন থেকে যখন কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়, তখন অন্য প্রান্তের স্টেশন থেকে আর কোনো ট্রেন ছাড়তে দেওয়া হয় না। আগের স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি অন্য প্রান্তের স্টেশনে আসার আগপর্যন্ত থেমে থাকা ট্রেনটিকে অপেক্ষা করতে হয়। ফলে সিঙ্গেল লাইনের রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রসিংয়ের সংখ্যা ও অপেক্ষার সময় বাড়তে থাকে। এখনই সক্ষমতার সংকটে ভুগতে থাকা দর্শনা-চিলাহাটি রেলপথে ভারতীয় মালবাহী ট্রেন চলতে দেওয়া হলে বিদ্যমান ট্রেনগুলোর শিডিউল বিপর্যয় ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়বে।

এই রেল ট্রানজিট যে শুধু বাংলাদেশের একটি রেলপথ ব্যবহার করে হবে তা নয়। ১৬ জুন টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবর থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৪টি নতুন রুটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা হবে যার দৈর্ঘ্য হবে ৮৬১ কিমি। টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ভারতের সামরিক এবং বেসামরিক পণ্য পরিবহণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ রেলপথ নিয়ে ২০১৭ সালে ডোকালাম অঞ্চল ঘিরে ভারত ও চীনের মধ্যকার বিরোধে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। কারণ, চিকেন নেক করিডোর এই বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের কাছেই অবস্থিত। এ কারণেই উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চিকেন নেক করিডোরের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ভারতের সামরিক এবং বেসামরিক পণ্য পরিবহণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ রেলপথ নিয়ে ২০১৭ সালে ডোকালাম অঞ্চল ঘিরে ভারত ও চীনের মধ্যকার বিরোধে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। কারণ, চিকেন নেক করিডোর এই বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের কাছেই অবস্থিত। এ কারণেই উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চিকেন নেক করিডোরের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত।

বাংলাদেশের কোন অঞ্চল দিয়ে ভারত রেল সংযোগ তৈরি করতে চায় তার একটি ধারণা পাওয়া যায় ভারতের নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের ১৪ জুন ২০২৪-এর এক বিজ্ঞপ্তি থেকে। বিজ্ঞপ্তিটির শিরোনাম: ‘Railway Board sanctions Final Location Survey of new International Connectivity projects to strengthen Chicken-neck।’

ছবি: ভারতের নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেল সংযোগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির স্ক্রিন শট

এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যেসব পথে ভারত রেল সংযোগ করতে চায় তার মধ্যে রয়েছে–

  • পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট থেকে বাংলাদেশের হিলি, পার্বতীপুর, কাউনিয়া, লালমনিরহাট, মোগলহাট হয়ে ভারতের গিতলদহ পর্যন্ত। এই পথে ১৪ কিমি নতুন রেললাইন নির্মাণ ও ১৮ কিমি রেললাইনের গজ (Gauge) রূপান্তর করা হবে।
  • পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট থেকে বাংলাদেশের হিলি, গাইবান্ধা হয়ে ভারতের মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ, তুরা, মেন্দিপাথার পর্যন্ত। এ পথে ২৫০ কিমি নতুন রেললাইন স্থাপন করা হবে।
  • বিহারের মাঙ্গুরজান থেকে বাংলাদেশের পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহারের হলদিবাড়ি পর্যন্ত। এ পথে ৬০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
  • পশ্চিমবঙ্গের ডালখোলা থেকে বাংলাদেশের পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় হয়ে কুচবিহারের হলদিবাড়ি পর্যন্ত। এই পথে ৮০ কিলোমিটার নতুন রেলরেলাইন নির্মাণ করা হবে।
  • পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুর থেকে বাংলাদেশের বিরল, পার্বতীপুর, কাউনিয়া হয়ে পশ্চিমবঙ্গের গিতলদহ পর্যন্ত। এই পথে ১৪ কিমি নতুন রেললাইন নির্মাণ ও ১৮ কিমি গজ রূপান্তর করা হবে।
  • ভারতের ত্রিপুরার বিলোনিয়া থেকে বাংলাদেশের ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেল রুটটি হবে ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ, যার মধ্যে নতুন করে তৈরি করা হবে ৩৮ কিলোমিটার, বাকি ৯৩ কিলোমিটার রেলপথের গজ রূপান্তর করা হবে।
  • পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে বাংলাদেশের দর্শনা, ঈশ্বরদী, টঙ্গী, ভৈরব বাজার, আখাউড়া হয়ে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত। এ পথে ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের গজ রূপান্তর করতে হবে।
  • পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল, যশোর, রূপদিয়া, কাশিয়ানি, শিবচর, পদ্মা সেতু, ঢাকা, টঙ্গী, ভৈরব বাজার, আখাউড়া হয়ে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত। এ পথে ১২০ কিমি রেললাইনের গজ রূপান্তর করতে হবে।

ছবি: বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত প্রস্তাবিত কয়েকটি ট্রানজিট রুট: ১) পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট থেকে বাংলাদেশের হিলি, পার্বতীপুর, কাউনিয়া, লালমনিরহাট, মোগলহাট হয়ে ভারতের গিতলদহ পর্যন্ত রেলসংযোগ এই পথে; ২) পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে বাংলাদেশের দর্শনা, ঈশ্বরদী, টঙ্গী, ভৈরব বাজার, আখাউড়া হয়ে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ; ৩) পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল, যশোর, রূপদিয়া, কাশিয়ানি, শিবচর, পদ্মা সেতু, ঢাকা, টঙ্গী, ভৈরব বাজার, আখাউড়া হয়ে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ; ৪) ভারতের ত্রিপুরার বিলোনিয়া থেকে বাংলাদেশের ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেল সংযোগ

বাংলাদেশকে ঘিরে ভারতের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, বাংলাদেশ যে চীন ভারতের ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জটিলতার মধ্যে আরও বেশি করে জড়িয়ে পড়বে না তার কি নিশ্চয়তা? উত্তর-পূর্ব ভারত সীমান্তে চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে বাংলাদেশের রেল ট্রানজিট ব্যবহার করে যদি ভারতীয় সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণ করা হয়, তখন বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত ভারসাম্যমূলক পররাষ্ট্রনীতির অবস্থা কী দাঁড়াবে?

তা ছাড়া ১৪টি নতুন রুটে বাংলাদেশের রেলপথ দিয়ে ভারতীয় ট্রেন চলাচল শুরু হলে ইতোমধ্যে অবকাঠামো সংকটে জর্জরিত বাংলাদেশ রেলওয়ের কী অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়। এমনকি ভারতের রেল চলাচলের সুবিধার জন্য যদি বাংলাদেশের রেলের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়, যদি সে জন্য ভারত ঋণও প্রদান করে, সে ক্ষেত্রেও তা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বোঝা হিসেবেই আবির্ভূত হবে। কারণ, দিনশেষে ঋণের অর্থ সুদে-আসলে জনগণের করের টাকা থেকেই পরিশোধ করতে হবে। তার ওপর দেখা যাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনের জন্য যেসব স্থানের রেলপথের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন, সেসব স্থানের বদলে অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ভারতের ট্রানজিট সুবিধাকে মাথায় রেখে।

১৪টি নতুন রুটে বাংলাদেশের রেলপথ দিয়ে ভারতীয় ট্রেন চলাচল শুরু হলে ইতোমধ্যে অবকাঠামো সংকটে জর্জরিত বাংলাদেশ রেলওয়ের কী অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়। এমনকি ভারতের রেল চলাচলের সুবিধার জন্য যদি বাংলাদেশের রেলের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়, যদি সে জন্য ভারত ঋণও প্রদান করে, সে ক্ষেত্রেও তা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বোঝা হিসেবেই আবির্ভূত হবে।

এভাবে বাংলাদেশের জনগণের করের টাকায় ভারতকে রেল ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশের কী লাভ হবে? এর আগে ভারতকে বাংলাদেশের নৌপথ, স্থলপথ ও বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে কী লাভ হয়েছে? এসব ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখানো হলেও বাস্তবে কী অর্জন হয়েছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যায় না। কানেকটিভিটির প্রসঙ্গে অনেকেই ইউরোপের উদাহরণ দিয়ে থাকেন। কিন্তু অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামরিক ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক শক্তি-সামর্থ্যের মধ্যে যে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা রয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কি তা রয়েছে?

সবচেয়ে বড় কথা হলো, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে যার মধ্যে সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা ও তিস্তাসহ বাংলাদেশের নদী থেকে ভারত কর্তৃক একতরফা পানি প্রত্যাহার অন্যতম। এসব সমস্যার সমাধান না করে কোন যুক্তিতে এবং কার স্বার্থে বাংলাদেশ একের পর ভারতকে স্থল-নৌ-রেল-বন্দর ব্যবহারের সুবিধা দিতে থাকবে!

তথ্যসূত্র:

১। Transcript of Special Briefing by Foreign Secretary on State Visit of Prime Minister of Bangladesh to India, ২২ জুন ২০২৪, মিনিস্ট্রি অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, ইন্ডিয়া

২। পুরোনো রেলপথ, চলছে সক্ষমতার চেয়ে বেশি ট্রেন, বণিক বার্তা, ২৪ জুন ২০২৪

৩। New rail lines for Northeast via Bangladesh to bypass ‘Chicken’s Neck’, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ১৬ জুন ২০২৪

৪। প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ভারতীয় নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে, ১৪ জুন ২০২৪

Social Share
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •