ইডেন কলেজে যৌন শোষণ ও মুনিয়া হত্যায় দায়মুক্তি বিষয়ে দুটো বিবৃতি
সম্প্রতি প্রকাশিত দুটো বিবৃতি এই সঙ্গে প্রকাশিত হলো। এই দুটো বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট (নারী) লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকর্মী ও সংগঠকবৃন্দ। প্রথমটি ৩রা অক্টোবর, ২০২২; দ্বিতীয়টি ২১শে অক্টোবর ২০২২।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীদের দ্বারা যৌন শোষণের
বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি, মানবপাচার আইনে বিচার ও শাস্তির দাবি
ইতিহাসের কি পরিহাস যে যে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে গুড়িয়ে ফেলার অংশ হিসেবে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী দেশীয় রাজাকারদের সাহায্যে এদেশের মেয়ে ও নারীদের জোরপূর্বকভাবে তুলে নিয়ে ক্যাম্পে রেখে ৯ মাস ধর্ষণ করেছিল সেই সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইডেন কলেজের নেত্রীদের বিরুদ্ধে তাদের জুনিয়র সহপাঠীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে টর্চার করে পার্টির নেতা বা ব্যবসায়ীদের যৌন উপভোগের জন্য পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
গত কয়েক দশক ধরে শাসক দল ও তার ছাত্র সংগঠনের মধ্যে একটি অলিখিত চুক্তি গড়ে উঠতে দেখেছি আমরা: শাসক দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতা-নেত্রী-কর্মীরা শারীরিক ও মতাদর্শিক লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করবে, প্রতিদানে তারা সীট বাণিজ্য থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে ছাত্র থাকা অবস্থায় নিজ নিজ সম্পদের এমন পাহাড় গড়ে তুলবেন যা বৈধ উপায়ে কোনো মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবীর পক্ষে সারা জীবনেও অর্জন করা সম্ভব না। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দলকানা কর্ণধাররা না বোঝার ভান করে থাকবেন, বিনিময়ে তাদের নিজেদের ‘অধ্যক্ষ’ ‘ভিসি’ পদ সুরক্ষিত থাকবে। চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-সীট বাণিজ্যের এই সন্ত্রাস ও অপরাধের রাজত্বে ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রীরা ভয়াবহ একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন: ছাত্রীদের যৌন শোষণের মাধ্যমে তাদের পকেট ও নেতৃত্বের প্রোফাইল ভারি করা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দলকানা কর্ণধাররা না বোঝার ভান করে থাকবেন, বিনিময়ে তাদের নিজেদের ‘অধ্যক্ষ’ ‘ভিসি’ পদ সুরক্ষিত থাকবে। চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-সীট বাণিজ্যের এই সন্ত্রাস ও অপরাধের রাজত্বে ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রীরা ভয়াবহ একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন
সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে ইডেনে প্রবর্তিত ব্যবস্থার দুটো দিক আছে, দুটোই সমানভাবে ভয়াবহ। ছাত্র রাজনীতি করতে ইচ্ছুক মেয়েদের মধ্যে এই ধারণা বপন করা যে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হলে নেতাদের সাথে রাত কাটাতে হবে। দ্বিতীয়ত, ছাত্রলীগ নেত্রীদের দ্বারা পরিচালিত এই যৌন অপরাধ চক্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নির্দেশ না মানলে টর্চারের সম্মুখীন হওয়া (চড়-থাপ্পড়, মারধর, বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ‘ভাইরাল’ করার হুমকি, ‘শিবির’ লেবেল করে হল থেকে বের করে দেয়া ইত্যাদি)। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দলীয় কোন্দলের কারণে ফাঁস হওয়া এই কাহিনীগুলো আমাদেরকে নারী আন্দোলন কর্মী হিসেবে বিশেষভাবে সংক্ষুব্ধ করেছে কারণ এই ব্যবস্থার বিস্তার ঘটেছে নারী নেতৃত্বাধীন শাসনামলে। নারী শিক্ষার অগ্রদূত প্রতিষ্ঠান ইডেন কলেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লেখাপড়া করেছেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন। লক্ষণীয়, সরকার এখনও নীরব। (নারী) শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা-বিবৃতি বা উদ্বেগ প্রকাশিত হতে দেখিনি। পদত্যাগ করতে চাওয়া তো দূরের কথা।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সত্য-মিথ্যা উদ্ঘাটনের সাহসী কাজ একটি বিচার বিভাগীয় কমিটিই করতে পারবে বলে আমরা মনে করি এবং আমরা সেটি গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে, ক্ষমতাশালীরা যেহেতু বিষয়টিকে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ ইস্যু/সমস্যা হিসেবেই পরিবেশন করছেন, আমরা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২-র প্রতি। যৌন শোষণ একটি আইনী অপরাধ, এবং ইডেনে কলেজে যা যা ঘটেছে তা সত্য প্রমাণিত হলে ১১ নম্বর ধারার অধীনে কঠিনভাবে শাস্তিযোগ্য।
“পতিতাবৃত্তি বা অন্য কোনো প্রকারের যৌন শোষণ বা নিপীড়নের জন্য আমদানী বা স্থানান্তরের দণ্ড:
ধারা-১১। কোন ব্যক্তি জবরদস্তি বা প্রতারণা করিয়া বা প্রলোভন দেখাইয়া কোন ব্যক্তিকে পতিতাবৃত্তি অথবা অন্য কোন প্রকারের যৌন শোষণ বা নিপীড়নমূলক কাজে নিয়োগ করিবার উদ্দেশ্যে বিদেশ হইতে বাংলাদেশে আনয়ন করিলে বা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্থানান্তরিত করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর এবং অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে এবং অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২)।”
বিত্তশালীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার গুরুতর অভিযোগ
অস্বীকৃতি: পিবিআইয়ের প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন
মঙ্গলবার ১৯শে অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেমিকা কলেজ শিক্ষার্থী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা মোসাররাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগের সত্যতা খুঁজে না পাওয়ায় পিবিআই আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ।
১৬-পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে আমাদের হাতে পৌঁছায়। আমরা এটিকে সযত্নে পাঠ করেছি।
স্বৈরশাসক হুসেইন মো. এরশাদের আমলে সরকারপক্ষের একটি স্লোগান জারি ছিল: “এরশাদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র।” আমাদের মনে হয়েছে মামলার প্রধান আসামী বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর (ও তার পরিবার-বন্ধু বর্গকে) নির্দোষ হিসেবে নির্মাণ করার লক্ষ্যে পিবিআই একই মন্ত্র অবলম্বন করে তদন্ত করা ও প্রতিবেদন লেখার কাজটি সম্পন্ন করেছে। পক্ষান্তরে, মোসারাত জাহান মুনিয়া, যিনি ভিক্টিম, এবং মৃত, তার চরিত্রকে পিতৃতান্ত্রিক ও শ্রেণীগত দম্ভের দৃষ্টিকোণ থেকে কলঙ্কিত করা হয়েছে, এমনভাবে যেন মনে হয় মুনিয়ার ভাগ্যে যা যা ঘটেছে তার জন্য ওই দায়ী। ওই দোষী। সংক্ষেপে বললে, আমাদের মনে হয়েছে victim-blaming এর পদ্ধতি অবলম্বন করে পিবিআই বিত্তশালীদের অপরাধের অভিযোগকে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত না করে হোয়াইটওয়াশ করার কাজটি করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আনভীরের ”স্ত্রী” আছে (সাবরিনা সোবহান)। ”প্রেমিকা” আছে (সাইফা রহমান মীম)। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে মুনিয়ার সাথে আনভীরের শারীরিক সম্পর্ক ছিল, অর্থাৎ, ইঙ্গিত করা হচ্ছে মুনিয়া ছিলেন তার “যৌনসঙ্গী”। আনভীরের বৈবাহিক কি অবৈবাহিক, কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো বিচারমূলক বা নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়নি । কিন্তু লক্ষণীয় যে মুনিয়ার বেলায় পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা একই মানদণ্ড অনুসরণ করেননি। একজনকে কলুষিত করা, আরেকজনকে নিষ্কলুষিত রাখা – এধরণের অনুশীলন কি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জনমনে আস্থা জাগাবে?
আনভীরের বৈবাহিক কি অবৈবাহিক, কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো বিচারমূলক বা নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়নি । কিন্তু লক্ষণীয় যে মুনিয়ার বেলায় পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা একই মানদণ্ড অনুসরণ করেননি। একজনকে কলুষিত করা, আরেকজনকে নিষ্কলুষিত রাখা – এধরণের অনুশীলন কি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জনমনে আস্থা জাগাবে?
কলুষিত করার কিছু নমুনা তুলে ধরছি (উদ্ধৃত অংশে পিবিআইয়ের বানান অবিকৃত রাখা হয়েছে): “ভিকটিম একা বসবাস করাবস্থায় [তার] কাছে চলচিত্র ব্যক্তিত্ত্ব রাজসহ আরো কতক পুরুষের যাওয়া আসা ছিল।” “তারা ভিকটিমের ভাড়া বাসায় রাত ১২ টা পর্যন্ত অবস্থান করত।” “[ভিকটিমের] চাল চলন পছন্দ না হওয়ায় বাড়ীর মালিক…ভিকটিমের বাসায় বিভিন্ন পুরুষদের আসা যাওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানালে…”, “কলেজে শুরু থেকেই অনিয়মিত”, “উচ্চতর গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য”, “বনানীর বাসায় অবস্থান করাকালীন একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্কসহ চিত্রজগত ব্যক্তিত্ত্ব এবং বিত্তবান সমাজে গিয়ে নেশা সেবন ও মেলামেশা করে..”, “চিত্র জগতসহ প্রভাবশালী উঠতি বয়সী কতক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্বের সাথে ভিকটিমের পরিচয়…”, “[মুনিয়া] পারিবারিক পরিবেশের বাহিরে আনন্দ উচ্ছাসে ভরা উচ্চ বিত্তদের নতুন পরিবেশে যাদের সাথে সম্পর্ক তৈরী হয়েছে তাদের মাধ্যমে আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিজেকে অনেক উপরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে”, “নিজেকে আরো উপরে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিচিত অন্যান্যদের পাশাপাশি ১নং বিবাদী সায়েম সোবহান আনভীরের সাথেও এক ধরনের সম্পর্কে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে”, “একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে অনেক বেশী উচ্চাভিলাসী জীবনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে“, ”[মা’র অসুস্থতাজনিত পারিবারিক ঋণ রয়েছে তাদের] “যার অনেক টাকা এখনও বাকী আছে”, “পিতা-মাতা নাই…বলে অন্যদের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা করতো”, “প্রায় সময়ই বাহির হতে খাবার খেয়ে আসতেন বা বাসায় পার্সেল খাবার আনার ব্যবস্থা করতেন”, “বাসায় গেঞ্জী ও টাইটস পড়ে থাকতেন”, “পারিবারিক পরিবেশের বাইরে আনন্দ উচ্ছাসে ভরা গুলশান, বনানীর মতো আবাসিক এলাকার এক শ্রেণীর উচ্চবিত্ত্বদের ফ্রি-স্টাইলে চলাফেরার মতো নতুন পরিবেশে নিজেকে মেলিয়ে দেয়ার মাধ্যমে আর্থিক ও সামাজিকভাবে অনেক উপরে যাওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্যই একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী হয়ে স্ব-ইচ্ছায় ১নং বিবাদী সায়েম সোবহান আনভীর এর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে”, “একজন কলেজ শিক্ষার্থী হলেও বনানী ও গুলশান এলাকায় বসবাসরত এলিট শ্রেণীর লোকজনদের সাথে তিনি চলাফেরা করতেন…”।
পিবিআইয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে এক দশক আগে পুলিশের একটি নতুন ইউনিট হিসেবে পিবিআইকে প্রতিষ্ঠা করা হয় অধিক পেশাজীবীতার সাথে ক্রিমিনাল কেসের অনুসন্ধান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে। কিন্তু মুনিয়ার ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত যেই চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট পিবিআই আদালতে জমা দিয়েছে তার সিংহভাগ ‘এফ’ গ্রেড সিনেমার ভ্যাম্প (নারী ভিলেন) চিত্রায়নের স্ক্রিপ্টের মতো। জনসাধারণের ট্যাক্সের টাকায় বিত্তশালীদের অপরাধ সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত না করে ভিক্টিমকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দোষারোপ করে বিচার প্রাপ্তির পথ রহিত করা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। কেবল ন্যাক্কারজনক না, এটিও একটি অপরাধ।
এই তদন্ত প্রতিবেদন বৃহত্তর সমাজে একমাত্র এই সিগনালই দিতে পারে যে আইন আইনের গতিতে চলে না, টাকার গতিতে চলে। অঢেল টাকার মালিক হলে ধর্ষণ ও হত্যার মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হলেই বা কি। বাদীকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পর্যন্ত করা হয় না।
এই তদন্ত প্রতিবেদনের অন্তর্নিহিত চিন্তা ও ভাষা প্রয়োগের প্রতি আমরা সর্বসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। একইসাথে আমরা ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম যথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচারালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই কারণ এই তদন্ত প্রতিবেদন বৃহত্তর সমাজে একমাত্র এই সিগনালই দিতে পারে যে আইন আইনের গতিতে চলে না, টাকার গতিতে চলে। অঢেল টাকার মালিক হলে ধর্ষণ ও হত্যার মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হলেই বা কি। বাদীকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পর্যন্ত করা হয় না।