সর্বজনকথা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্য
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: নদী, সীমান্ত ও বিদ্যুৎ প্রসঙ্গ
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সর্বজনকথার আয়োজনে ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: নদী, সীমান্ত ও বিদ্যুৎ’ শিরোনামে একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বজনের পক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক বিশেষত নদী, সীমান্ত, ট্রানজিট ও জ্বালানি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও দাবি তুলে ধরা হয়। ড. সামিনা লুৎফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দেশ-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক ও গবেষক। এরা হলেন: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ড. মো. খালেকুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান ও অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা।
ভূতাত্ত্বিক ও নদী বিশেষজ্ঞ ড. মো. খালেকুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে কুশিয়ারা নদী থেকে জকিগঞ্জে রহিমপুর খালের সেচ প্রকল্পের জন্য ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করার বিষয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নিয়ে বক্তব্য উপস্থিত করেন। তিনি বলেন, শুকনো মৌসুমে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, কুশিয়ারা নদীর বাংলাদেশ অংশে গড়ে ৫ হাজার ২৯৫ থেকে ১৭ হাজার ৬৫০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়। সেই তুলনায় ১৫৩ কিউসেক পানি নিতান্তই সামান্য পরিমাণ (১ থেকে ৩ শতাংশ)। এই সামান্য পরিমাণ পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রত্যাহার করার জন্য বাংলাদেশকে যদি ভারতের অনুমতি নিতে হয়, তা অযৌক্তিক ও অনৈতিক।
সেই তুলনায় ১৫৩ কিউসেক পানি নিতান্তই সামান্য পরিমাণ (১ থেকে ৩ শতাংশ)। এই সামান্য পরিমাণ পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রত্যাহার করার জন্য বাংলাদেশকে যদি ভারতের অনুমতি নিতে হয়, তা অযৌক্তিক ও অনৈতিক।
তিনি বলেন, এই সমঝোতা স্বাক্ষর অসংগতিপূর্ণ। কারণ, কুশিয়ারার যে অংশের জন্য সমঝোতা হয়েছে, সেই অংশটি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত। রহিমপুর খালের কয়েক কিলোমিটার ভাটিতে কুশিয়ারা নদীর ভারতের অংশে ‘নো ম্যান’স ল্যান্ড’-এ নোটি খালের গতিপথ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে একটি জনপদ তৈরি করা হয়েছে, সে জন্য ভারতের বাংলাদেশের অনুমতি নেওয়ার দরকার হয়েছিল বলে জানা যায় না। এই নোটি খালটি বহমান থাকলে বরং শুকনো মৌসুমে কুশিয়ারায় পানিপ্রবাহের পরিমাণ আরও বাড়ত।
এই সমঝোতা অন্যায্য। কারণ, ভারতে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীর উজানের অববাহিকায় (অর্থাৎ বরাক এবং তার অন্যান্য উপনদীর অববাহিকায়) প্রকল্প তৈরি করার আগে আন্তর্জাতিক রীতি নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো সমঝোতা কিংবা চুক্তি হয়নি; বরং ভারতীয় সরকারি হিসাবমতেই আসাম-মনিপুর-নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে ৬টি বড় এবং মাঝারি সেচ প্রকল্প ও ৬টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এসব প্রকল্পের জন্য কী পরিমাণ পানি ব্যবহার করা হয় এবং এর পরিবেশগত অভিঘাত ভাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের অংশে ঠিক কী পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়নি।
ভারতীয় সরকারি হিসাবমতেই আসাম-মনিপুর-নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে ৬টি বড় এবং মাঝারি সেচ প্রকল্প ও ৬টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এসব প্রকল্পের জন্য কী পরিমাণ পানি ব্যবহার করা হয় এবং এর পরিবেশগত অভিঘাত ভাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের অংশে ঠিক কী পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়নি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ২০১০, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২২ সালের ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের প্রতিটি যৌথ ঘোষণায় বা যোগাযোগপত্রে সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে এসেছে। এতে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যাসহ চোরাচালান, সীমান্ত হাট, নারী-শিশু পাচার, সন্ত্রাসবাদ, বাংলাদেশের সীমান্ত ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ ভারতের কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ সম্পন্ন করার বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো বাস্তবায়নের জন্য সীমান্তের সমন্বিত বা যৌথ ব্যবস্থাপনার আওতায় যতটা তৎপরতা দেখা যায়, সীমান্ত হত্যা বন্ধের ক্ষেত্রে সে রকম কোনো কিছু দেখা যায় না! বরং ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিএসএফ ‘আত্মরক্ষা’ বা ‘চোরাচালানকারী’র অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে রকম একটা গৎবাঁধা ব্যাখ্যা দেওয়া হয় প্রতিবারই। তাই সীমান্ত হত্যা শূন্য পর্যায়ে নিয়ে আসার আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি প্রতি সফরে দিলেও বাংলাদেশের নাগরিকদের সীমান্তে হত্যাকাণ্ড আর বন্ধ হয় না!
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সংলগ্ন ২ হাজার ৫০ কিমি সীমান্তে ‘স্মার্ট ফেন্সিং’ সম্পন্ন করার কাজ শুরু করে। এর আওতায় সীমান্তে রাডার, সেন্সর, ক্যামেরাভিত্তিক সীমান্ত নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে। বিজিবির তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত সীমান্তে ১৬১ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে। বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০০০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সীমান্তে এ রকম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১ হাজার ২৫৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় তা অব্যাহতই থাকছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সফরকালেই দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হলো ১৭ বছরের স্কুলশিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম মিল্টন।
বিজিবির তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত সীমান্তে ১৬১ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে। বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০০০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সীমান্তে এ রকম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১ হাজার ২৫৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
অর্থনীতিবিদ ও জ্বালানি গবেষক অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা তার বক্তব্যে ভারতের ওপর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নির্ভরশীলতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যাখ্যা করে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী দেশে ১৫২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন ২৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বর্তমানে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি হয় সর্বোচ্চ উৎপাদনের প্রায় ৮ শতাংশ (১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট)। ভারতীয় প্রকল্পগুলো (বাংলাদেশ ও ভারতে) বাস্তবায়ন হলে এই নির্ভরশীলতা বেড়ে হবে প্রায় ৪ হাজার ৮৬০ মেগাওয়াট। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ভারতের অংশগ্রহণ দাঁড়াবে প্রায় ১৬ শতাংশ। এর সঙ্গে নির্মিতব্য পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আমদানি শুরু হলে জ্বালানি খাতে ভারতের অংশগ্রহণ ২০ শতাংশের বেশি হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) হিসাব অনুযায়ী, ভারত থেকে পরিশোধিত তেল আমদানি করলে ব্যারেলপ্রতি বাংলাদেশের সাশ্রয় হবে ২ থেকে ৩ ডলার। অন্যদিকে বিদেশ থেকে অপরিশোধিত তেল এনে দেশের পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির সক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে পরিশোধন করে ডিজেল উৎপাদন করা হলে সাশ্রয় হতো ব্যারেলপ্রতি ১১ ডলার! ভারত থেকে তেল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে ২০১৭ সাল থেকে, অথচ ২০১২ সালে ইস্টার্ন রিফাইনারির সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প এখনো ঝুলে আছে।
ভারত থেকে পরিশোধিত তেল আমদানি করলে ব্যারেলপ্রতি বাংলাদেশের সাশ্রয় হবে ২ থেকে ৩ ডলার। অন্যদিকে বিদেশ থেকে অপরিশোধিত তেল এনে দেশের পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির সক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে পরিশোধন করে ডিজেল উৎপাদন করা হলে সাশ্রয় হতো ব্যারেলপ্রতি ১১ ডলার! ভারত থেকে তেল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে ২০১৭ সাল থেকে, অথচ ২০১২ সালে ইস্টার্ন রিফাইনারির সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প এখনো ঝুলে আছে।
পেট্রোবাংলা অগভীর সমুদ্রের এসএস-০৪ এবং এসএন-০৯ ব্লকের জন্য ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের পিএসসি সই করে ভারতের ওএনজিসির সঙ্গে। ২০১৯ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। কিন্তু কাজ হয়নি। অথচ পেট্রোবাংলার সক্ষমতা বাড়িয়ে সমুদ্রে কাজ শুরু করলে এতদিনে গ্যাস পাওয়া যেত।
অধ্যাপক মোশাহিদা আরও বলেন, ২০১৮ সালে রূপপুর নিউক্লিয়ার প্রকল্পে যুক্ত হয় ভারত। রাশিয়া এ প্রকল্পে ডিজাইন, চুল্লিপাত্র ও মূল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করলেও ভারতকে যুক্ত করা হয়েছে এ প্রকল্পে কর্মীদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, অবকাঠামো নির্মাণে সহযোগিতা এবং প্রকল্পের ছোট ছোট যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে। এতে ভারত নিউক্লিয়ার সাপ্লাইয়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আস্থা অর্জন করলেও বাংলাদেশের জন্য ভারতীয় ব্যবস্থাপনার ওপর দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরশীলতা কৌশলগত দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের টেকসই বন্ধুত্বের জন্য কয়েকটি বিষয় নিষ্পত্তি দরকার। এগুলো হলো: (১) ১৯৯৭ সালে গৃহীত জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পানি আইনে সব দেশের নদীর পানির ওপর যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ ভারত সরকারের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারও তাতে স্বাক্ষর করেনি। অবিলম্বে এতে স্বাক্ষর করে দেশের সব নদী ব্যবস্থাপনায় টেকসই সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে হবে। (২) সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত সরকার তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার ভঙ্গ করছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধের পাশাপাশি ফেলানী ও মিলটনসহ সব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে হবে। এতে জাতিসংঘের ভূমিকা নিতে হবে। (৩) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অযৌক্তিভাবে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা বাংলাদেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক। অথচ তেল পরিশোধন, গ্যাস অনুসন্ধান এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি আর্থিক, পরিবেশগত ও জ্বালানি সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করায় ভূমিকা রাখতে পারে। (৪) ভারতকে দেয়া ট্রানজিটকে কেন্দ্র করে অবকাঠামোগত নানা প্রকল্প চলছে, সবশেষ প্রস্তাব হিলি থেকে মেঘালয় মহাসড়ক ও সেতু। এসব প্রকল্পে বাংলাদেশের সামাজিক, পরিবেশগত, নিরাপত্তাজনিত ক্ষতি বা ঝুঁকি এখনো বাংলাদেশের মানুষ জানে না। এ বিষয়ে সব তথ্য জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে অবিলম্বে এ বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
ভারতের সরকার, বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, আমলারা যা যা চাচ্ছে তার সবই তারা পাচ্ছে। বাংলাদেশের সরকার যা চায় তা-ও হয়তো পায়, কিছু বড় ব্যবসায়ীরও হয়তো জুনিয়র পার্টনার স্ট্যাটাসটাই পছন্দ। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তো সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়, নদীতে পানি চায়, রামপাল বাতিল চায়, ট্রানজিট সম্পর্কে জানতে চায়, বাণিজ্যে ভারসাম্য চায়, আধিপত্যের জাল থেকে বের হয়ে সম্পর্কে সম্মান চায়। কিন্তু এগুলোর কিছুই পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, ভারতের সরকার, বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, আমলারা যা যা চাচ্ছে তার সবই তারা পাচ্ছে। বাংলাদেশের সরকার যা চায় তা-ও হয়তো পায়, কিছু বড় ব্যবসায়ীরও হয়তো জুনিয়র পার্টনার স্ট্যাটাসটাই পছন্দ। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তো সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়, নদীতে পানি চায়, রামপাল বাতিল চায়, ট্রানজিট সম্পর্কে জানতে চায়, বাণিজ্যে ভারসাম্য চায়, আধিপত্যের জাল থেকে বের হয়ে সম্পর্কে সম্মান চায়। কিন্তু এগুলোর কিছুই পাওয়া যায় না। দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্মানজনক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে গেলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে হবে।