বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের বাজার ও সাম্প্রতিক মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব

বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের বাজার ও সাম্প্রতিক মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব

মো. মনির

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম চালিকাশক্তি জ্বালানি তেল। পৃথিবীর মোট জ্বালানি শক্তির এক-তৃতীয়াংশের উৎস পেট্রোলিয়াম পণ্য। বাংলাদেশ তার জ্বালানি তেল চাহিদার প্রায় পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করে। জ্বালানি তেল একটি স্পর্শকাতর পণ্য, যার মূল্যে হ্রাস-বৃদ্ধি গভীরভাবে প্রভাব ফেলে সামষ্টিক অর্থনীতিতে এবং প্রভাবিত করে রাজনীতির হিসাব-নিকাশ। সম্প্রতি বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। এ লেখায় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের বাজারের ওপর একটি সাধারণ আলোকপাত করা হয়েছে, তেলের মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া ও নিয়ামকসমূহ বিশ্লেষণ করা হয়েছে, সেই সাথে তেলের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে সরকার প্রদত্ত ব্যাখ্যার সাপেক্ষে কিছু প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া এ লেখায় জনজীবনের ওপর মূল্য বৃদ্ধির স্বরূপ আলোচনা করা হয়েছে।

১। দেশে জ্বালানি তেলের বাজার প্রকৃতি

১.১। বাংলাদেশে জ্বালানি তেল আমদানি পরিস্থিতি

দেশের সার্বিক জ্বালানি তেলের চাহিদার প্রায় ৮ শতাংশ জোগান আসে স্থানীয় উৎস থেকে এবং অবশিষ্ট প্রায় ৯২ শতাংশ আমদানির মাধ্যমে মেটানো হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন সাতটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য আমদানি ও বিপণন করা হয়। বিপিসি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যসমূহের মূল্য নির্ধারিত হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের বাজারে বিপিসি একমাত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা অর্থনীতির ভাষায় একচেটিয়া প্রতিষ্ঠান।

বিপিসি বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে গত ৫ বছরে সরকার-সরকার বা জিটুজি মেয়াদি চুক্তি ও আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে।

অপরিশোধিত তেল আমদানি

২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত

অর্থবছর

পরিমাণ (মে. টন)

এফওবি মূল্য/ইউএসডি মিলিয়ন

কোটি টাকা

২০১৬-১৭

১৩,৮৭,৯৬৬

৫১৪.১০

৪,১৩২.৩৫

২০১৭-১৮

১১,৭২,১৭৫

৫৬৫.৯৯

৪,৬০৩.৮১

২০১৮-১৯

১৩,৫৮,১৫৯

৭২১.২৮

৬,০৮০.৩৯

২০১৯-২০

১১,৫১,৮১৪.২২

৪৫৫.৯১

৩,৮৫৪.৬৪

২০২০-২১

১৫,০৫,৭১০.৪৭

৬০৮.৫১

৫,১৬৯.২৭

 তথ্যসূত্র: বিপিসি

 পরিশোধিত তেল আমদানি

২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত

অর্থবছর

জেট এ-১, এসকেও, মোগ্যাস এবং এইচএসডি

লুব্রিকেটিং বেজ অয়েল

ফার্নেস অয়েল

পরিমাণ

(মে. টন)

মূল্য

(কোটি টাকা)

পরিমাণ

(মে. টন)

মূল্য

(কোটি টাকা)

পরিমাণ

(মে. টন)

মূল্য

(কোটি টাকা)

২০১৬-১৭

৩৮,৭১,৪৩২

১৪,৪৩৩.৯১

০.০০

৫,২১,১৯৯

১,২৪০.৬৬

২০১৭-১৮

৪৮,৯২,০৮৯

২৩,৩০০.৬৭

০.০০

৬,৫০,৫৪০

২,০৯১.৫২

২০১৮-১৯

৪২,৮১,৯৫৮

২৩,৩৭৬.৫০

০.০০

৩,১৮,৬৩৪

১,২৮২.৪৯

২০১৯-২০ 

৩৮,৭৩,১৩১.৬১

১৭,০৪৫.৮১

০.০০

১,৭৫,৬৯৩.৯৫

৬৮৭.০৪

২০২০-২১

৪১,৭৪,৭২৬.০৬

১৬,৮০৫.৬৪

০.০০

৪৭,৯২৩.৭২

১৫১.৪১

 তথ্যসূত্র: বিপিসি

১.২। বাংলাদেশ যেখান থেকে জ্বালানি তেল ক্রয় করে

বিপিসি বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জিটুজি মেয়াদি চুক্তি ও আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে জ্বালানি তেল ক্রয় করে থাকে। অপরিশোধিত তেল দুটি দেশের কাছ থেকে কেনা হয় জিটুজি ভিত্তিতে। তারা হলো সৌদি আরব ও আবুধাবি। দেশে অপরিশোধিত তেল কেনা হয় ১৫ লাখ টন, এর পুরোটাই জিটুজি ভিত্তিতে। জিটুজি ভিত্তিতে পরিশোধিত তেল কেনা হয় সাতটি দেশের আটটি কোম্পানির কাছ থেকে। আর আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বছরে দুবার তেল কেনা হয়।

সরবরাহকারীদের তালিকা

ক। অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী:

১. সৌদি এরাবিয়ান অয়েল কোম্পানি (সৌদি আরামকো), কিংডম অব সৌদি আরব

২. আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এডনক), আবুধাবি

খ। পরিশোধিত তেল সরবরাহকারী:

১. কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (কেপিসি), কুয়েত

২. পেটকো ট্রেডিং লাবুয়ান কোম্পানি লিমিটেড (পিটিএলসিএল), মালয়েশিয়া

৩. এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (ইনক), সংযুক্ত আরব আমিরাত

৪. পেট্রোচায়না (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড, চায়না

৫. পিটি বুমি সিয়াক পুসাকু (বিএসপি), ইন্দোনেশিয়া

৬. ইউনিপেক (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড, চায়না

৭. পিটিটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং পিটিই লিমিটেড, থাইল্যান্ড

৮. নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল), ইন্ডিয়া

১.৩। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাংলাদেশের তেল কেনার প্রক্রিয়া

সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার আছে দুটি—যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর। ভৌগোলিক সুবিধা ও স্বল্প পরিবহণ ব্যয় বিবেচনায় বাংলাদেশ সাধারণত জ্বালানি তেল কেনে সিঙ্গাপুর থেকে। তেলের দাম নির্ধারিত হয় যে দিন তেল জাহাজে তোলা হয়, সে দিনের বাজারদর এবং ওই দিনের আগের দুদিন এবং পরের দুদিন, মোট পাঁচ দিনের গড় মূল্যের ভিত্তিতে। তেলের মূল্য জিটুজি কিংবা খোলা দরপত্র পদ্ধতিভেদে একই হয়। সামান্য পার্থক্য হয় প্রিমিয়ামের কারণে। প্রিমিয়ামের মধ্যে থাকে জাহাজভাড়া, আন্তর্জাতিক শুল্ক এবং ইনস্যুরেন্স ব্যয়। চুক্তি কিংবা দরপত্রে প্রিমিয়াম নির্দিষ্ট করা থাকে।

জাহাজের মাধ্যমে তেল আমদানির পর অপরিশোধিত তেল পরিশোধিত হয় দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। পরিশোধিত তেল অভ্যন্তরীণ পরিবহণের মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিপিসির সংরক্ষণাগারে জমা হয়। এরপর সংরক্ষণাগার থেকে পৌঁছে দেওয়া হয় অনুমোদিত তেলের ডিলারদের কাছে। ডিলারের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীর হাত হয়ে পৌঁছে যায় চূড়ান্ত ভোক্তার কাছে।

জাহাজের মাধ্যমে তেল আমদানির পর অপরিশোধিত তেল পরিশোধিত হয় দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। পরিশোধিত তেল অভ্যন্তরীণ পরিবহণের মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিপিসির সংরক্ষণাগারে জমা হয়। এরপর সংরক্ষণাগার থেকে পৌঁছে দেওয়া হয় অনুমোদিত তেলের ডিলারদের কাছে। ডিলারের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীর হাত হয়ে পৌঁছে যায় চূড়ান্ত ভোক্তার কাছে।

১.৪। জ্বালানি তেলের ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি

সারা বিশ্বে জ্বালানি তেলের খুচরা মূল্য নির্ধারিত হয় মোটাদাগে তিনটি পদ্ধতিতে।

১। বাজার-নির্ধারিত স্বয়ংক্রিয় মূল্য পদ্ধতি (Automatic Pricing Mechanism)

এ পদ্ধতিতে তেলের খুচরা মূল্য বাজার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পরিক দরকষাকষির মাধ্যমে মূল্য নির্ধারিত হয়। খুচরা মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের দরের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এ পদ্ধতিতে প্রতিনিয়ত মূল্য সমন্বয় হয়।

২। মূল্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি (Price Ceiling Mechanism)

এ পদ্ধতিতে সরকার তেলের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেয়। এখানেও অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতা পারস্পরিক দরকষাকষির মাধ্যমে মূল্য নির্ধারিত হয়। কিন্তু বিক্রেতারা সরকার বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন না। সরকার সাধারণত নির্দিষ্ট সময় অন্তর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম মূল্যায়নপূর্বক বেঁধে দেওয়া মূল্য পরিবর্তন করে থাকে।

৩। সরকার-নির্ধারিত একদর মূল্য পদ্ধতি (Administrative Pricing Mechanism)

এ পদ্ধতিতে সরকার-নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একক মূল্যে জ্বালানি তেল বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশে তেলের দাম নির্ধারণ হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে একদর মূল্য পদ্ধতিতে। বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন সাতটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি সারা দেশে সরকার-নির্ধারিত মূল্যে জ্বালানি তেল বিপণন করে।

১.৫। জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যবচ্ছেদ

২০২১ সালের ৪ নভেম্বর থেকে সরকার ডিজেল কেরোসিনসহ পেট্রোলিয়াম পণ্যের স্থানীয় বিক্রয় মূল্যসংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করে। যেখানে ডিজেল কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে। স্থানীয় বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি। বিপিসির তথ্যানুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকায় বিক্রি হলে ব্রেক ইভেনে চলবে। অর্থাৎ, আয় এবং খরচ সমান হবে; কোনো মুনাফা থাকবে না।

বর্তমানে সব শ্রেণির জ্বালানি তেলে আমদানি শুল্ক রয়েছে ১০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ও আয়কর মিলে পরিশোধ করতে হয় আরও ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে সব শ্রেণির জ্বালানি তেলে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স হিসেবে পরিশোধ করতে হয় ৩০ শতাংশের ওপরে।

বর্তমানে সব শ্রেণির জ্বালানি তেলে আমদানি শুল্ক রয়েছে ১০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ও আয়কর মিলে পরিশোধ করতে হয় আরও ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে সব শ্রেণির জ্বালানি তেলে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স হিসেবে পরিশোধ করতে হয় ৩০ শতাংশের ওপরে।(বিপিসি) অর্থাৎ শুল্ক-কর বাদ দিলে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম থাকবে ৬৫ টাকার মধ্যে। তবে এটা পূর্ণাঙ্গ হিসাব নয়৷ সঠিক হিসাবে প্রকৃত ট্যাক্স-ভ্যাট ও অন্যান্য খরচ আরও বেশি হতে পারে।

  • ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত তেলের গড় মূল্য                        ৮৪ ডলার
  • ব্যারেলপ্রতি গড় প্রিমিয়াম                                              ২.৫০ ডলার

————————————————————————————————————-

= প্রতি লিটার ডিজেল চট্টগ্রাম বন্দরে আনতে খরচ হয় কমবেশি   ৪৮.০০ টাকা (১ ব্যারেল সমান প্রায় ১৫৯ লিটার)

  • বন্দর চার্জ, ডিউটি, হ্যান্ডলিং কমিশন, শুল্ক                         ১৬.৭৩ টাকা

—————————————————————————————————————–

= বন্দর থেকে শোধনাগারে নেওয়া এবং শোধনের                     ৬৪.৭৩ টাকা

পর বিতরণ কোম্পানিগুলোকে দেওয়ার আগপর্যন্ত খরচ**

  • ১০ শতাংশ ডিউটি ও ২ শতাংশ শুল্ক                                 ৫.৭৬ টাকা
  • বিতরণ কোম্পানিতে সরবরাহের সময় ভ্যাট                         ৯.৭১ টাকা
  • ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট                                                    ১.৫৭ টাকা

——————————————————————————————————————-

                                                                              = ৮১.৭৭ টাকা (প্রায়)

**বিপিসির তথ্যমতে, বিতরণ পর্যায়ে প্রায় ৪ টাকা খরচ রয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিপণন কোম্পানির (পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা) মার্জিন ৫০ পয়সা৷ বিপণন কোম্পানির পরিবহণ ভাড়া তহবিল ৯০ পয়সা৷ বিপিসির তেল খাতের উন্নয়ন তহবিল ১০ পয়সা৷ ডিলারদের প্রতি লিটারে পরিবহণ খরচ ৫০ পয়সা৷ ডিলারদের অবচয় ৪ পয়সা৷ ইভাপোরেশন অপারেশন হ্যান্ডলিং ও অন্যান্য লস এবং ডিলার/এজেন্ট কমিশন ১ টাকা ৯৫ পয়সা প্রতি লিটারে। কেরোসিনের খরচও অনেকটা একইরকম৷

 ১.৬। বর্তমান সরকারের আমলে জ্বালানি তেলের মূল্যে যত পরিবর্তন

বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ডিজেলের দাম মোট ৬ দফায় ৩৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আর এক দফায় মাত্র ৩ টাকা হারে কমানো হয়েছে। তবে কখনোই একসঙ্গে এত বেশি পরিমাণে দাম বাড়ানো হয়নি। ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি ৭ টাকা হারে বাড়ানো ছিল এর আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে ২০১১ সালে ৪ দফায় দাম বাড়ানো হয় সর্বসাধারণের ব্যবহৃত এই পণ্যটি। প্রথম দফায় মে, ২০১১- ২ টাকা বাড়িয়ে ৪৬ টাকা; সেপ্টেম্বর, ২০১১- ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫১ টাকা; নভেম্বর, ২০১১- ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৬ টাকা; ডিসেম্বর, ২০১১- ৫ টাকা বাড়িয়ে ৬১ টাকা। এরপর জানুয়ারি, ২০১৩ – ৭ টাকা বাড়িয়ে ৬৮ টাকা; এপ্রিল, ২০১৬ – ৩ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা এবং নভেম্বর, ২০২১- ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা।

২০১১ সালে ৪ দফায় দাম বাড়ানো হয় সর্বসাধারণের ব্যবহৃত এই পণ্যটি। প্রথম দফায় মে, ২০১১- ২ টাকা বাড়িয়ে ৪৬ টাকা; সেপ্টেম্বর, ২০১১- ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫১ টাকা; নভেম্বর, ২০১১- ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৬ টাকা; ডিসেম্বর, ২০১১- ৫ টাকা বাড়িয়ে ৬১ টাকা। এরপর জানুয়ারি, ২০১৩ – ৭ টাকা বাড়িয়ে ৬৮ টাকা; এপ্রিল, ২০১৬ – ৩ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা এবং নভেম্বর, ২০২১- ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা।

২। মূল্য বৃদ্ধির পেছনে সরকারের ব্যাখ্যা ও প্রতি-ব্যাখ্যা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকায় সর্বাধিক ব্যবহৃত ডিজেলের ক্ষেত্রে বিপিসি লোকসানের সম্মুখীন হয়। ডিজেলে ২০২১ সালের জুন মাসে লিটারপ্রতি ২.৯৭ টাকা, জুলাই মাসে ৩.৭০, আগস্ট মাসে ১.৫৮, সেপ্টেম্বর মাসে ৫.৬২ এবং অক্টোবর মাসে ১৩.০১ টাকা বিপিসির লোকসান হয়। সে হিসাবে ২০২১ সালের সাড়ে পাঁচ মাসে সর্বাধিক ব্যবহৃত ডিজেলের ক্ষেত্রে বিপিসির মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ১৪৭.৬০ কোটি টাকা।

২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিপিসি মুনাফা করেছে ৪৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে সরকার ট্যাক্স-ভ্যাট থেকে প্রতিবছর ৯-১০ হাজার কোটি টাকা পায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ১০ হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে

২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিপিসি মুনাফা করেছে ৪৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে সরকার ট্যাক্স-ভ্যাট থেকে প্রতিবছর ৯-১০ হাজার কোটি টাকা পায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ১০ হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে (অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০২০)। এই বছরের শুরুতে আইএমএফসহ নানা অর্থনৈতিক সংগঠনের পূর্বাভাস ছিল ২০২২-এর মধ্যেই উন্নত দেশগুলো কোভিড-১৯-এর পূর্বাবস্থায় ফিরে আসবে। বৈশ্বিক অর্থনীতি চাঙা হবে এবং জ্বালানি তেলের দ্রুত চাহিদা বাড়বে। দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে বিপিসির উচিত ছিল মুনাফার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ সঞ্চিত রাখা, যা দিয়ে এখন সমন্বয় করা যেত।

 ৩। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য পতন ও বিপিসির অদূরদর্শিতা

২০২০ সালের শুরু থেকে কোভিড-১৯এর প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হয়। দেশে লকডাউনে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে সরবরাহ শৃঙ্খল। স্থবির হয় অধিকাংশ অর্থনৈতিক তৎপরতা। সারা বিশ্বে জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপক হ্রাস পায় এবং এ খাতে বিনিয়োগ কমে যায়। অন্যদিকে ১৯৪৬ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের উৎপাদন ও রপ্তানি আইনত নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৮ সালে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ২০২০ সালের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র তেল উৎপাদনে সর্বাধিক তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবকে ছাড়িয়ে যায়। ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্র দৈনিক গড়ে ১২.৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে, যেখানে একই সময়ে সৌদি আরবের দৈনিক গড় উৎপাদন ছিল ১২.৪ মিলিয়ন ব্যারেল। একদিকে কোভিড-১৯এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা হ্রাস এবং অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি উৎপাদন। ২০২০ সালের মে মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ সংরক্ষণাগার পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেখানে তেলের মূল্য শূন্যের নিচে নেমে আসে। চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলে তেলের ব্যাপক দরপতন হয়। ২০২০ সালের এপ্রিলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ২০ ডলারে নেমে আসে। অথচ ২০১৯ সালের জ্বালানি তেলের গড় মূল্য ছিল ৬০ ডলারের উপরে।

তেলের দরপতনের এ সুযোগ নিতে পারেনি বিপিসি। সারা দেশে বিপিসির যত সংরক্ষণাগার আছে, সেখানে দেশের চাহিদার মাত্র ২ মাসের তেল সংরক্ষণ করা যায়। বিপিসির পরিকল্পনা ছিল, তেল মজুতের জন্য বেসরকারি সংরক্ষণাগার ভাড়া নেওয়া এবং তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজ ভাড়া নেওয়া। সে পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছে, সে সংক্রান্ত নির্দিষ্ট তথ্য বিপিসি জানায়নি। কম দামে অধিক জ্বালানি তেল সংরক্ষণ করা গেলে এখন বাজার ঊর্ধ্বগতির সময় কম দামে দেশে তেল সরবরাহ করা যেত। এখানে বিপিসির অদূরদর্শিতার পরিচয় পাওয়া যায়।

২০২০ সালের এপ্রিলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ২০ ডলারে নেমে আসে। অথচ ২০১৯ সালের জ্বালানি তেলের গড় মূল্য ছিল ৬০ ডলারের উপরে।তেলের দরপতনের এ সুযোগ নিতে পারেনি বিপিসি। সারা দেশে বিপিসির যত সংরক্ষণাগার আছে, সেখানে দেশের চাহিদার মাত্র ২ মাসের তেল সংরক্ষণ করা যায়।

৪। তেলের মূল্য বৃদ্ধি অর্থনীতিতে প্রভাব

জ্বালানি তেলের খাতভিত্তিক বিক্রয়

পরিমাণ: মে. টন

সেক্টর 

২০১৭-১৮

%

২০১৮-১৯

%

২০১৯-২০

%

২০২০-২১

%

কৃষি খাত

১০৯০৯০৩

১৫.৭০

১০৭৫৩২৬

১৬.৪২

৯৯০৭৫২

১৮.০০

৯৭৫৬০৪

১৫.৪৯

শিল্প খাত

৩৩৭৯০৩

৪.৮৬

৩৮৮৩২৪

৫.৯৩

৪২১০৮৮

৭.৬৫

৪৫০৪৩৭

৭.১৫

বিদ্যুৎ খাত

১৮৭১৭৫৬

২৬.৯৪

১১২৩৩৯৬

১৭.১৫

৩৭১০২১

৬.৭৪

৬৫২০৬৬

১০.৩৫

যোগাযোগ খাত

৩৪৩২২৩৯

৪৯.৪০

৩৭১০২১১

৫৬.৬৪

৩৫৩৬৪৮৯

৬৪.২৭

৩৯৬৩৭২৫

৬২.৯২

গৃহস্থালি

১৫৬৭৫৬

২.২৬

১৩৪৬০৯

২.০৬

১০৮৩৪৭

১.৯৭

৯৭৬০০

১.৫৫

অন্যান্য

৫৮৭৭৯

০.৮৪

১১৭৭৩১

১.৮০

৭৫৩৯৪

১.৩৭

১৬০২৯৮

২.৫৪

মোট

৬৯৪৮৩৩৬

১০০.০০

৬৫৪৯৫৯৭

১০০.০০

৫৫০৩০৯১

১০০.০০

৬২৯৯৭৩০

১০০.০০

তথ্যসূত্র: বিপিসি

যোগাযোগ খাতে ডিজেলের চাহিদা মোট ডিজেল আমদানির ৬৪ শতাংশের মতো। কৃষি খাতে ডিজেলের চাহিদা ১৮ শতাংশ। এই দুই খাতে মোট ডিজেল আমদানির ৮২ শতাংশ চাহিদা রয়েছে। জ্বালানি তেল উৎপাদনের প্রাথমিক উপকরণ। তেলের মূল্য বৃদ্ধি সরাসরি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।বিবিএস সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সামনে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর গণপরিবহণে ভাড়া বেড়েছে। ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৩ ভাগ। কিন্তু এর ফলে বাসের ভাড়া বেড়েছে ২৭–৩০ ভাগ। কিন্তু যান চলাচলের সব খরচ বিবেচনায় নিলে বাসভাড়া ৭ ভাগের বেশি বাড়ার কথা ছিল না।

পরিবহণ খরচ বৃদ্ধির কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে। দেশের কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে ডিজেলের ব্যবহার অপরিহার্য। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষি উৎপাদন খরচ বাড়াবে। একদিকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল কৃষকের উৎপাদন কমবে, অন্যদিকে খাদ্যসহ কৃষিপণ্যের দাম বাড়বে। দেশে ধান উৎপাদনে মোট সেচের ৯৩ ভাগ সেচই প্রয়োজন বোরো মৌসুমে (বাকৃবি)। এই সেচের জন্য ব্যবহৃত সেচযন্ত্রের অধিকাংশই ডিজেলচালিত। ফলে এবার বোরো চাষের উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যাবে অনেক। ফলে বাড়বে চালের দাম। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি কৃষি, শিল্প উৎপাদনসহ সামষ্টিক অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে। করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, এই সময়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।

৫। জনজীবনে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব

জ্বালানি তেল একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। স্পর্শকাতর পণ্য হওয়ায় জ্বালানি তেলের সামান্য মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে খুব নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। গবেষণা বলছে, করোনার কারণে সাধারণ মানুষের রোজগার কমেছে, বেকারত্ব বেড়েছে। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) একটি যৌথ জরিপে জানানো হয়েছে, দেশে করোনাকালে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে।১০ এ অবস্থায় ডিজেল, কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধিতে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। সাধারণ মানুষ বাধ্য হয় ব্যয় সংকোচন করতে। ফলে মানুষের ভোগব্যয় হ্রাস পায়। সংকুচিত হয় অর্থনীতি।

সরকার তেলের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমায়নি রাজস্ব আয়ের কথা ভেবে। অথচ জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেলে ভোগব্যয় হ্রাস পায়। এতে অর্থনীতি সংকুচিত হয়। আর অর্থনীতি সংকুচিত হলে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ও আয়কর আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে সরকারের মূল্যবৃদ্ধি নীতি ফলপ্রসূ হয় না।

সরকার তেলের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমায়নি রাজস্ব আয়ের কথা ভেবে। অথচ জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেলে ভোগব্যয় হ্রাস পায়। এতে অর্থনীতি সংকুচিত হয়। আর অর্থনীতি সংকুচিত হলে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ও আয়কর আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে সরকারের মূল্যবৃদ্ধি নীতি ফলপ্রসূ হয় না।

সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী বলেছেন, অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার নানারকম প্রণোদনা প্যাকেজ বরাদ্দ দিয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জ্বালানি তেল বাবদ ভর্তুকি দেওয়া সম্ভবপর নয়। প্রথমত, এখানে ভর্তুকির কথা আসছে কোথা থেকে? সরকার আরওপিতে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করলে তো ভর্তুকি ছাড়াই বিপিসি তেল বিক্রি করতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রণোদনা সুবিধা সাধারণ জনগণ পাচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু বৃদ্ধিকৃত মূল্যের জ্বালানি তেল সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কারণ হচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো প্রশ্নের অবকাশ নেই।

শেষ কথা

জ্বালানি তেল একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। জ্বালানি তেলের মূল্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান আর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি সম্পৃক্ত। কল্যাণকামী রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ যখন একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু ভুল নীতিই নয়; বরং গণবিরোধী। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। সরকারের উচিত, জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যমূল্য দ্রুত যৌক্তিক করা, জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা।

 মো. মনির: প্রভাষক, অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)। ইমেইল: monirsquare@gmail.com

তথ্যসূত্র

১। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ে প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ সংসদীয় কমিটির, বণিক বার্তা, অক্টোবর ২৬, ২০২১

২। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), http://www.bpc.gov.bd/

৩। Petroleum Prices In Bangladesh A Need For Regular & Appropriate Adjustments, World Bank, 68379, February 18, 2007

৪। পেট্রোলিয়াম পণ্যের স্থানীয় বিক্রয় মূল্য, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)

৫। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি : জনস্বার্থ দেখবে কে? জাগো নিউজ, ১৬ নভেম্বর ২০২১

৬। লাভের মধু বিপিসির, ভোক্তার ঘাড়ে লস, সময়ের আলো, ৯ নভেম্বর ২০২১

৭। দেশে ডিজেলের মূল্য প্রতিবেশী দেশের চেয়ে কম: তথ্যমন্ত্রী, ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক, ৫ নভেম্বর ২০২১

৮। Crude Oil Markets:Effects of the Repeal of the Crude Oil Export Ban, GAO-21-118, Oct 21, 2020

৯। ৬০ ভাগ কম পানিতে বোরো ধান হবে, ফলনও বেশি, প্রথম আলো, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

১০। PPRC-BIGD COVID-19 Livelihoods & Recovery Panel Survey, Hossain Zillur Rahman, Dr Imran Matin et el, 2020

এ ছাড়াও

  1. জ্বালানি তেল: বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি কেন সংস্কারের তাগিদ? বিবিসি বাংলা, ৩ ডিসেম্বর ২০২১
  2. ২। Fuel Price Hike: How Necessary Was It? by CPD
  3. Fuel oil subsidy reforms and oil market deregulation in Bangladesh by Sadiq Ahmed,Zaidi SattarKhurshid Alam October 1, 2018
  4. Energy Sector in Bangladesh: An agenda for reforms ByMustafa K. Mujeri, Tahreen Chowdhury Tahrima, Siban Shahana on May 5, 2014
  5. https://mpemr.gov.bd/power/details/53
  6. https://www.thedailystar.net/business/economy/news/could-we-have-avoided-the-fuel-price-hike
  7. https://www.thedailystar.net/views/opinion/news/the-subtle-and-not-so-subtle-logic-behind-fuel-price-hikes
  8. https://www.dhakatribune.com/bangladesh/2021/11/11/energy-secretary-no-hike-in-prices-of-petrol-octane
  9. https://www.jugantor.com/national/others/486158/জ্বালানি-তেলের-দাম-বৃদ্ধি-যা-বললেন-সচিব
  10. https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/482091/অর্থনীতিতে-উভয়-সংকট
  11. https://www.kalerkantho.com/online/national/2021/11/06/1089798
  12. https://www.thedailystar.net/bangla/সংবাদ/বাংলাদেশ/জ্বালানি-তেলের-মূল্য-বৃদ্ধি-আরও-কঠিন-হবে-নিম্ন-আয়ের-মানুষের-জীবন-279861
Social Share
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •