নৈতিক স্মৃতিচারণ হিসেবে ইতিহাস। সিপি গ্যাং-এর ‘বেশ্যা’ ব্যানার-৭
গণধর্ষণের পর হত্যা ও ‘পতিতা’ পরিচয়
রেহনুমা আহমেদ
এই ধারাবাহিক লেখার এই পর্বে আমরা জানবো ইয়াসমিনের কথা, একজন কিশোরী, যাকে কয়েকজন পুলিশ বাড়ি পৌঁছে দেবার কথা বলে তাদের ভ্যানে ধর্ষণ করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে খুন করেছিল। এরপর পুলিশ ও সরকারি দল থেকে ইয়াসমনিকে পতিতা বানানোর অপচেষ্টা চলে, বানোয়াট পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বানানো হয়, কিন্তু সব চক্রান্ত ভেঙে দেয় অভূতপূর্ব জনপ্রতিরোধ, শহীদ হন সাতজন। বর্তমানেও ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ আর সরকারি নানা গল্পকথার সময়ে ইয়াসমিন খুব শক্তিশালীভাবে হাজির।
দিনাজপুরের ইয়াসমিন: পুলিশের বানোয়াট ‘পতিতা’ পরিচয়
শিশু বয়স, মাত্র চৌদ্দ বছর।
ঢাকার একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে গৃহশ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য ইয়াসমিনকে দেওয়া হয়েছিল। ২৩ আগস্ট ১৯৯৫ সালে ইয়াসমিন সে পরিবারের বাচ্চাকে স্কুল থেকে তুলে বাসায় ফেরৎ আনার জন্য বেরোয় কিন্তু স্কুলে না গিয়ে গাবতলী বাস টার্মিনালে চলে যায়। মাকে দেখার জন্য মনটা আকুপাকু করছিল কিন্তু ওকে বলা হয়েছিল পূজার ছুটির আগে ও দিনাজপুরে যেতে পারবে না।
সাংবাদিক আলতাফ পারভেজ সম্পাদিত সম্মিলিত নারী সমাজের অতিমূল্যবান সংকলন, ইয়াসমিন। বিপ্লবহীনতার কালে একটি রক্তপাতের শিরোনাম (১৯৯৬) খুঁজে বের করলাম।১ বইটির প্রধান প্রবন্ধ আলতাফ পারভেজের লিখিত, ঘটনাপরম্পরা ও পরিপ্রেক্ষিতের খুঁটিনাটি বিষয় অতি যত্নের সাথে লেখা হয়েছে — ঠাকুরগাঁও পুলিশের দ্বারা ইয়াসমিনের ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা, ইয়াসমিনকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া “পতিতা” হিসেবে পুলিশের উপস্থাপন২, সরকারের প্রেসনোট৩ নিয়ে সাধারণ মানুষের বিদ্রুপ, রাজনৈতিক ও সিভিল প্রশাসনের প্রতি মানুষের রাগ ও ক্ষোভ মূলধারার রাজনৈতিক দলের বুঝতে না পারা৪, ইয়াসমিনের দেহের প্রথম পোস্টমর্টেম প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো চিহ্ন না পাওয়া৫, দ্বিতীয় পোস্টমর্টেমের জন্য ইয়াসমিনের লাশ দ্বিতীয় দফা উত্তোলন করা৬, কারফিউ জারি করা, প্রতিটি পাড়া ও মহল্লায় সাধারণ মানুষের ব্যারিকেড বসানো, বিরল, সেতাবগঞ্জ, কাহারোল, ফুলবাড়ী থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া, ধর্ষক বলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (এএসআই ময়নুল ইসলাম, কনস্টেবল সাত্তার ও ভ্যান ড্রাইভার অমৃত লাল) তাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবি, পুলিশকে প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)কে নিয়োগ করার পর ধীরে ধীরে উত্তজনা প্রশমিত হওয়া।৭
“ইয়াসমিন মাকে দেখার জন্য অস্থির হবে, তার মা তাকে নিয়ে চিন্তা করবে – এগুলো একটু বাড়াবাড়ি হিসাবেই ‘সুশীল সমাজে’ দেখা হয়,” লেখেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ তার প্রবন্ধে। “বাস্তব জগত সম্পর্কে তার ধারণা কমই। মাকে দেখতে গেলে টাকা লাগবে, বাস পাওয়া সমস্যা হতে পারে, পথে বিপদ হতে পারে – এসব কোন চিন্তাই তার মাথায় আসেনি।”৮
পরের দিন ভোর ৩:৩০টায় বাস দশমাইল নামক স্থানে পৌঁছায়। ইয়াসমিন ভুলে ঢাকা-ঠাকুরগাঁওগামী কোচে উঠেছিল, দিনাজপুর থেকে ৬০ কিলোমিটার’দুর। বাসের সুপারভাইজার আর হেল্পার ইয়াসমিনকে দশমাইলের এক পান দোকানদারের হেফাজতে রেখে বলেন, আকাশ ফর্সা হলেই যাতে ওকে দিনাজপুরের গাড়িতে তুলে দেয়।
সেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে একটি পুলিশ পেট্রল ভ্যান আসে, ইয়াসমিনকে দেখে থামে, কোথায় যাবে জানতে চায়, ভ্যানে উঠতে বলে, দিনাজপুর শহরের রামনগরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। আশেপাশে লোকজন জড়ো হয়, তাদেরই একজন বলে ওঠে, উনিও দিনাজপুর যাবেন। গাড়িতে উঠি? কর্কশ উত্তর আসে, না। ইয়াসমিন ভ্যানে উঠতে চায়নি, পুলিশের ধমকা ধমকিতে উঠতে বাধ্য হয়।
কয়েক’শ গজ যাওয়ার পর পুলিশ ভ্যানকে থামতে দেখা যায়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, একটি মেয়ে ভ্যান থেকে লাফ দিয়েছিল, ভ্যান থামে, পুলিশ নেমে টর্চের আলোতে তাকে খুঁজে পায়। ভ্যানটি চলে যায়।
ইয়াসমিনের লাশ ভোরে পাওয়া যায়। ধর্ষণ করে হত্যা করা লাশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার মুখ পশ্চিমের দিকে বাঁকানো ছিল। ডান পা বাঁ পায়ের উপর উঠানো ছিল, হাত দুটো দুদিকে ছড়ানো। জিহ্বা বের করা, চোখ খোলা। ডান দিকের চোয়াল থেতলানো, নাক ও মুখের চারপাশে রক্তক্ষরণের চিহ্ন, কপাল ফোলা, মাথায় কাটা দাগ। পায়ের গোড়ালি ও আঙুল রক্তে মাখা, কোনো কোনো স্থানে ছাল উঠে গেছে, রক্তাক্ত জখম। ডান দিকের বোগলে কামিজ ছেঁড়া, সালোয়ারের পিছনটা রক্তে ভরা।৯
রামনগর গর্জে ওঠে। শুরুতে দু’চারটা মিছিল, তারপর সভা-সমাবেশ। লোকজনকে জড়ো হওয়ার জন্য যেই মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছিল পুলিশ এসে সেটি ভেঙ্গে দেয়, প্রতিবাদের মাত্রা বেড়ে যায়। যখন পুলিশ প্রতিবাদকারীদের গ্রেপ্তার করে, কয়েক হাজার মানুষ থানা ঘেরাও করে, ৩৭ জনকে মুক্ত করে। পুলিশ লাঠিচার্জ করেও প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পারেনি।
নিরস্ত্র জনগণের উপর পুলিশ গুলি ছুঁড়ে সাতজনকে হত্যা করে: মোঃ মেহেরাব আলী ওরফে সামু, আব্দুল কাদের, সিরাজুল ইসলাম, গোলাপ, নান্নু, জুলহাজ ও দিনাজপুর স্টেশনের একটি নাম না জানা বাচ্চা ছেলে।১০ (পুলিশের বিরুদ্ধে শেষোক্ত চারজনের লাশ গুম করার অভিযোগ আছে)। নিহত সাতজন শহীদের স্মরণে ফরহাদ মজহার তার প্রবন্ধের নাম দেন “সাত ভাই চম্পা,” দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ঠাকুরমার ঝুলি-তে প্রকাশিত (১৯০৭) রূপকথার গল্পানুসারে।
রামনগর থেকে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে দিনাজপুরে, দিনাজপুর থেকে ঢাকায়, ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলায়। এত বিশাল প্রতিবাদের কারণ কি?
অসন্তোষের প্রথম বীজ কী বপন করা হয়েছিল যখন পুলিশ সুরাতে-হাল প্রতিবেদন তৈরির জন্য সবার সামনে ইয়াসমিনের কাপড় খুলে ওকে ন্যাংটো করে?১১
নাকি ইয়াসমিনের গণধর্ষণ ও হত্যা দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বহুদিনের ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটায় যার জন্য দায়ী করা হতো এমপি খুরশিদ জাহান হক (‘চকোলেট’ আপা নামে পরিচিত, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বোন), ডেপুটি কমিশনার জব্বার ফারুক ও পুলিশ সুপার আব্দুল মোত্তালেব—এই ত্রিভুজ শক্তিকে?১২
নাকি এ কারণে যে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দিনাজপুরে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ না করে (হাজার হোক, আটজন নিহত), জনগণের দাবিদাওয়ার প্রতি সম্মান না জানিয়ে, কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বেইজিং চলে যান, নারী-বিষয়ে জাতিসংঘের চতুর্থ কনফারেন্সে (৪-১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫) বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য? (সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ তার প্রবন্ধের শিরোনাম দেন, “ইয়াসমিনের লাশের বোঝা কাঁধে নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং যেতে হচ্ছে”)।১৩
নাকি এ কারণে যে পুলিশের “ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের” প্রচেষ্টা ব্যাকফায়ার করে? আলতাফ পারভেজ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন: কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহতাব হোসেন ও কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন, কয়েকজন স্থানীয় পতিতাকে একত্র করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান (পোস্টমর্টেমের জন্য ইয়াসমিনের লাশ তখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল)। উপস্থিত সাংবাদিক ও জনসাধারণকে পতিতারা বলেন, ইয়াসমিন “তাদেরই একজন।” তার নাম বানু, কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ।১৪ পুলিশ সুপার ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের অফিসে পতিতাদের একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। স্থানীয় এলিট, পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকরা অপপ্রচারে অংশ নিয়ে ক্ষতি-নিয়ন্ত্রণের অভিযানে শামিল হন। সেটি প্রকাশ পায় দৈনিক তিস্তা’র ২৬শে আগস্ট ১৯৯৫ এর শিরোনামে, “রাতের বধু বানুর লাশ উদ্ধার।”১৫
মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক ও সম্মিলিত নারী সমাজের সদস্য নায়লা খান দিনাজপুরে যান সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সাথে। তাঁর প্রবন্ধে তিনি লেখেন, ‘আমার পেশাগত জীবনে আমি মানুষের দুর্দশা, দারিদ্র, আশাহীনতা, পরাজয় প্রত্যক্ষ করেছি কিন্তু এগুলো আমাকে একজন অজানা ইয়াসমিনের মাকে দেখতে প্রস্তুত করেনি।’১৬ শরিফা বেগম নায়লাকে বলেন ইয়াসমিন পড়াশোনায় খুবই আগ্রহী ছিল কিন্তু ক্লাস ফাইভের পর তাঁর পক্ষে কন্যাকে পড়ানো সম্ভব হয়নি। ঢাকায় কাজে যেতে রাজি হয়েছিল এই শর্তে যে তার আয়ের একাংশ মা তুলে রাখবেন, সেটি দিয়ে এক বছর পর তাকে আবার স্কুলে ভর্তি করা হবে।
শরিফা বেগম নায়লাকে বলেন ইয়াসমিন পড়াশোনায় খুবই আগ্রহী ছিল কিন্তু ক্লাস ফাইভের পর তাঁর পক্ষে কন্যাকে পড়ানো সম্ভব হয়নি। ঢাকায় কাজে যেতে রাজি হয়েছিল এই শর্তে যে তার আয়ের একাংশ মা তুলে রাখবেন, সেটি দিয়ে এক বছর পর তাকে আবার স্কুলে ভর্তি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরিত স্মারকলিপিতে সম্মিলিত নারী সমাজ বলে “কোন পতিতাকেও ধর্ষণ বা হত্যার অধিকার পুলিশের নেই।’’১৭ শাহ এ এম এস কিবরিয়া তার প্রবন্ধে আরো কঠোর ভাষায় সরকারকে তিরষ্কার করেন, “ইয়াসমিনকে পতিতা প্রমাণ করার ষড়যন্ত্র কার উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত তা অবশ্যই দেশবাসীকে জানতে হবে। জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র ফাঁদা হয়েছিল। কোন কোন অফিসার এই ন্যাক্কারজনক প্রতারণায় শরিক ছিলেন তা জনগণকে জানাতে হবে এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে অন্যান্য অফিসারদের সতর্ক করে দিতে হবে যে জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা একটা গুরুতর অপরাধ। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে অপরাধীদের মন-মানসিকতার কিছু পরিচয় পাওয়া যায়। এরা মনে করেছে, ইয়াসমিনকে পতিতা প্রমাণ করলে তাদের অপরাধের গুরুত্ব হ্রাস পাবে। তারা নিশ্চয়ই ভেবেছিল, একজন পতিতাকে ধর্ষণ করা, এমনকি হত্যা করাও তেমন দোষের ব্যাপার নয়।”১৮
২৪শে আগস্ট বাংলাদেশে “নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবস” হিসেবে পালিত হয়। আলতাফ পারভেজের সম্পাদিত সংকলনে অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে ইয়াসমিনের প্রতি শারীরিক (যৌন) নৃশংসতাই শুধু মানুষকে স্তম্ভিত করেনি, মৃত্যু-পরবর্তী মতাদর্শিক আক্রমণও জনসাধারণকে ক্ষুব্ধ করেছে। এখনও করে।
ইয়াসমিনের প্রতি শারীরিক (যৌন) নৃশংসতাই শুধু মানুষকে স্তম্ভিত করেনি, মৃত্যু-পরবর্তী মতাদর্শিক আক্রমণও জনসাধারণকে ক্ষুব্ধ করেছে। এখনও করে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রামের ক্ষেত্রে সিপিগ্যাংয়ের অবস্থান কোথায়? তারা কি জানে ইয়াসমিন ও দিনাজপুরের আন্দোলনের কথা? (১৯৯১-১৯৯৬ কালীন বিএনপি সরকারের পতন তরান্বিত করার ক্ষেত্রে এই আন্দোলন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে)। তারা কি ইয়াসমিনের ধর্ষণ, হত্যা ও যৌন কালিমালেপন বিরোধী গণ আন্দোলনকে তাদের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার হিসেবে স্বীকার করে?
নাকি তারা স্থানীয় প্রশাসনের মতো আমাদের বিশ্বাস করাতে চায় যে ইয়াসমিন হঠাৎ পুলিশ ভ্যান থেকে লাফ দেওয়ার কারণে মারা যায় আর একজন পতিতার মৃত্যুতে কিইবা আসে যায়?
রেহনুমা আহমেদ: লেখক, নৃবিজ্ঞানী।
ইমেইল: rahnuma@drik.net
তথ্য সূত্র:
১। আলতাফ পারভেজ (সম্পাদিত), ইয়াসমিন। বিপ্লবহীনতার কালে একটি রক্তপাতের শিরোনাম, ঢাকা: সম্মিলিত নারী সমাজ, ১৯৯৬।
২। উপরোক্ত, পৃ. ১৬-১৭।
৩। উপরোক্ত, পৃ. ২৮।
৪। উপরোক্ত, পৃ. ২৩।
৫। উপরোক্ত, পৃ. ১২৫।
৬। উপরোক্ত, পৃ. ২২।
৭। উপরোক্ত, পৃ. ২০।
৮। আনু মুহাম্মদ, “ইয়াসমিন, মর্জিনা এবং বেইজিং বিশ্ব নারী সম্মেলন,” আলতাফ পারভেজ (সম্পাদিত), ইয়াসমিন। বিপ্লবহীনতার কালে, প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৭।
৯। উপরোক্ত, পৃ. ১৫।
১০। উপরোক্ত, পৃ. ২০, ২৫-২৬।
১১। উপরোক্ত, পৃ. ১৬।
১২। উপরোক্ত, পৃ. ২৪।
১৩। উপরোক্ত, পৃ. ৭৯-৮২।
১৪। উপরোক্ত, পৃ. ১৭।
১৫। উপরোক্ত, একই পৃষ্ঠা ।
১৬। ড. নায়লা খান, “ইয়াসমিন তার রক্ত দিয়ে নিজের মুক্তিসনদের স্বাক্ষর রেখে গেল,” ইয়াসমিন। বিপ্লবহীনতার কালে, প্রাগুক্ত, পৃ. ৭৩।
১৭। উপরোক্ত, পৃ. ৩১।
১৮। শাহ এ এস এম কিবরিয়া, “দিনাজপুরের গণঅভ্যুত্থান: এলাকাবাসীর পুঞ্জীভূত বেদনা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ,”ইয়াসমিন। বিপ্লবহীনতার কালে, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৪১।
5
ইয়াসমিনের ঘটনা ও এতে পুলিশের সম্পৃক্তি, বিশেষ করে তার চরিত্রে কালিমা লেপনের প্রচেষ্টা ও সাতজন মানুষের আত্মাহুতি কখনই ভোলা যাইবেনা।